ওই ব্যক্তির দাবি খতিয়ে দেখতে তাঁকে পরীক্ষা করেও দেখেছেন গবেষকরা৷ তাঁদের দাবি, দুশো বার টিকা নিলেও ওই ব্যক্তির শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট ভাল৷ এমন কি, করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে শরীরে যে ধরনের কোষ এবং অ্যান্টিজেনের প্রয়োজন, সেগুলিও ওই ব্যক্তির শরীরে আর পাঁচজনের থেকে বেশিই মাত্রাতেই রয়েছে৷
আরও পড়ুন: কটায় ব্রেকফাস্ট, কখন লাঞ্চ? জানুন খাওয়া দাওয়ার সঠিক নিয়ম, ঝুঁকি কমবে সুগার-স্ট্রোকের
advertisement
জানা গিয়েছে, ২৯ মাসের মধ্যে এই ২১৭টি করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন ওই ব্যক্তি৷ ওই ব্যক্তি যে অন্তত ১৩৪ বার টিকা নিয়েছেন, দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি টেস্ট রিপোর্টে তা নিশ্চিতও করেছেন গবেষকরা৷
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট দেখেই ওই ৬২ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির কথা জানতে পারেন গবেষকরা৷ পরের পর এই ভাবে ভ্যাকসিন নেওয়া বা হাইপার ভ্যাক্সিনেশনের কী প্রভাব ওই ব্যক্তির শরীরে পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করেছেন গবেষকরা৷ ওই ব্যক্তির শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে কী প্রভাব পড়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হয়৷
ওই ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ওই ব্যক্তির শরীরে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি৷ এমন কি, অতীতে তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণও পাননি গবেষকরা৷
প্রায় দুশো বার করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি৷ বরং গবেষকরা তাঁর শরীরে প্রচুর পরিমাণে টি ফ্যাক্টর সেল পেয়েছেন, যা করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ তিন বার যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের তুলনায় ওই ব্যক্তির শরীরে এই টি ফ্যাক্টর সেল অনেক বেশি সংখ্যায় সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা৷ তবে এর পরেও নির্দিষ্ট ডোজের অতিরিক্ত করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন না গবেষকরা৷