ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বড় লজ্জাজনক ভিডিও ভাইরাল রয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সত্যি হলে বউয়ের হাতে সজোড়ে থাপ্পড় খেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট৷ বর্তমানে ভিয়েতনামে বিদেশ সফরে রয়েছেন ম্যাক্রঁ৷ যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি হল তাঁর ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় পৌঁছনোর ভিডিও৷ ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, তখনও নিজের বিমানের ভিতরেই রয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর সামনে কিন্তু আড়ালে রয়েছেন এক মহিলা৷ তাঁর পোশাক লাল রঙের৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘উড়িয়ে দেওয়া হবে…’, স্বাস্থ্যভবনে বোমাতঙ্ক! ঘটনাস্থলে পৌঁছল পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড
স্বভাবতই ভিডিওটি কোনও প্রেমের ভিডিও নয়৷ ওই লাল পোশাক পরা মহিলা আসলে ছিলেন ম্যাক্রঁর স্ত্রী তথা ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট৷ পরে বিমান থেকে নেমে আসার সময় তাঁকে সেই পোশাকেই দেখা গিয়েছে৷ ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রথমে বারবার ব্রিজিট তাঁর হাত দিয়ে ম্যাক্রঁর মুখ ঠেলে দিচ্ছেন। তারপরেই তিনি চর কষান ম্যাক্রঁর মুখে৷
যখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর মুখে থাপ্পড় মারা হয়, তখন তিনি প্লেনের গেটের খুব কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাই দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং তারপর সেই ভিডিও ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় নেয়নি।
ভিডিওয় দেখা যায় যে, বিমানের দরজা খোলার সাথে সাথেই তাঁর স্ত্রী ম্যাক্রঁর মুখ হাত দিয়ে ঠেলে দিচ্ছেন। ধাক্কার অভিঘাতে ম্যাক্রঁ একটু পিছিয়েও যান৷ তখনই তিনি বুঝতে পারেন যে, সাংবাদিক এবং ক্যামেরার দল তাঁকে নীচে থেকে দেখছে। বুঝতে পেরেই, ম্যাক্রঁ তৎক্ষণাৎ তাঁর মুখের ভাব বদলে ফেলেন, হাসেন, হাত নাড়েন এবং চুপচাপ বিমানের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন।
প্রথমে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ভবনের তরফে ভিডিওটিকে প্রথমে এআই ভিডিও বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে, যখন ভিডিওটির সত্যতা প্রকাশ পাওয়ার পরেই বদলে যায় বয়ান৷ তখন ম্যাক্রঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর তরফে বেসরকারি ভাবে জানানো হয় বিষয়টি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ছিল।
আরও পড়ুন: ঝেঁপে আসছে…আগামী দু’ঘণ্টায় কাঁপিয়ে দেবে! কোথায় কবে দুর্যোগ, কী পূর্বাভাস জেনে নিন
নিজের চেয়ে ২৪ বছরের বড় ব্রিজিটের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছেন ম্যাক্রঁ। ব্রিজিট একসময় তাঁর স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে, ম্যাক্রঁ তাঁর ৩৯ বছর বয়সি শিক্ষিকার প্রেমে পড়েন। সেই সময় ব্রিজিট বিবাহিত ছিলেন এবং তিন সন্তানের মা-ও ছিলেন। তা সত্ত্বেও, ১৬ বছর বয়সে, ম্যাক্রঁ ব্রিজিটকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
পরিবারের বিরোধিতা সত্ত্বেও এই বিয়ে হয়েছিল৷ ম্যাক্রঁর পরিবার এই সম্পর্কের তীব্র বিরোধিতা করেছিল, কিন্তু তিনি রাজি হননি। ব্রিজিট তাঁর প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ করেন এবং ২০০৭ সালে, যখন ম্যাক্রঁর বয়স ২৯ এবং ব্রিজিটের বয়স ৫৪, তাঁরা প্যারিসে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে ম্যাক্রঁ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ব্রিজিট ফার্স্ট লেডি হন। তিনি তার স্বামীর সমস্ত বিদেশ সফরে তাঁর সাথে থাকেন।