আলিমা জানালেন, ‘‘কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ ধরে একা রয়েছেন ইমরান।’’ পরিবারের সদস্যদের আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও মঙ্গলবারের নির্ধারিত সাক্ষাতের সময়ে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘‘ওরা সমস্ত কিছুতেই আদালতের অবমাননা করছে।’’ সাক্ষাত্কারে জানান তিনি। “বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ভাল বিচারক রয়েছেন, কিন্তু তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে,” জানালেন আলিমা।
advertisement
কার এবং সেনা প্রধান আসিম মুনিরকে নিশানা করে সাম্প্রতিক সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গ টানলেন ইমরানের বোন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী ‘‘ব্যক্তি-নির্দিষ্ট”। “কয়েকজন মানুষ নিজেদের পুরোপুরি আইনের বাইরে রাখছে,” তিনি বললেন, “এটা আমাদের সবার জন্য একটা বাস্তবতা।
তবুও, তিনি জোর দিয়ে বললেন, কর্তৃপক্ষ ওনাকে ক্ষতি করার ঝুঁকি নেবে না। “পাকিস্তানে প্রচণ্ড ক্ষোভ আছে,” তিনি বললেন। “ইমনার খানের কিছু হলে, আপনি কি ভাবছেন মানুষ চুপচাপ বসে থাকবে? ওরা (কর্তৃপক্ষ) ভাল করেই জানে এরপর কী হবে।” তিনি আরও বললেন, পরিবার ও আইনজীবীরা বারবার চেষ্টা করেছেন ইমরানের সঙ্গে দেখা করার। যার মধ্যে মঙ্গলবারের এক প্রতিবাদও ছিল, যেখানে মহিলা পুলিশ অফিসাররা জোর করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: কোন ভিটামিনের অভাবে খুশকিতে ভরে মাথা, জানাচ্ছন পুষ্টিবিদ! রইল বাঁচার সেরা টোটকা!
“আমাদের ফুটপাতে বসে প্রতিবাদ করার অধিকার আছে,” তিনি বললেন। “কিন্তু ওরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমার ৭১ বছর বয়সী বোনকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে, উনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তরুণী মেয়েদেরও মারা হয়েছে। আমাদের জেল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমরা আবার ফিরে এসেছিলাম।” তিনি বললেন, পরিবার ও আইনজীবীদের সাক্ষাতের অনুমতি সংক্রান্ত আদালতের আদেশ “পুলিশ ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে”। “বিচার বিভাগের কোনও সম্মান নেই। এটা ফ্যাসিস্ট সিস্টেম”, ঘোষণা ইমরানের দিদির।
আলিমার মতে, সুপ্রিম কোর্টও অকার্যকর হয়ে গেছে। “আমাদের আইনজীবীরা Constitutional Court-এ গিয়েছিলেন প্রক্রিয়া জানতে, কিন্তু সেটা অকার্যকর,” তিনি বললেন। “আইনের শাসনকে পুরোপুরি কবর দেওয়া হয়েছে।” তিনি সতর্ক করলেন, পাকিস্তানেরএর খারাপ হতে থাকা অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক হতাশা জনগণের ক্ষোভকে চরমে নিয়ে যাচ্ছে। “কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। অশান্তি হবেই।”
