পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের বিনা প্ররোচনায় গুলি বর্ষণের ঘটনা যে ভাবে পাকিস্তানি সেনা প্রতিরোধ করেছে। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি গর্ব অনুভব করছি।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানি সেনা আফগানিস্তানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে তা প্রশংসনীয়।”
আরও পড়ুন: ভোটার কার্ড নেই? চিন্তা নেই, এই ১২টি নথির মধ্যে একটা থাকলেই হবে, ভোট দিতে পারবেন
advertisement
এর আগে আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশে ১৫ জন নয় ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করল তালিবান।
এই প্রসঙ্গে, তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ রবিবার জানান, আফগানিস্তানের প্রত্যাঘাতে মোট ৫৮ জন পাকিস্তান সেনার মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জন সেনা আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পাকিস্তানের কোনও আঘাতই ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। আইসিস জঙ্গি সংগঠনকে পাকিস্তান নিজের মাটিতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে বলেও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে আফগান মুখপাত্র বলেন, “নিজের মাটিতে আইসিসের মতো জঙ্গি সংগঠনের বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। আফগানিস্তানের নিজের জমি,সীমান্ত রক্ষা করার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে।”
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুলে পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইকের জবাবে পাল্টা আঘাত হানে তালিবান।
এই প্রসঙ্গে, হেলমন্দ প্রদেশের মুখপাত্র মাওলাই মহম্মদ কাশিম রিয়াজ জানান, গতরাতে ১৫ জন পাক সেনাকে এক অপারেশনে আফগান সেনা হত্যা করেছে। মূলত, পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্তে বাহরামপুর জেলায় ডুরান্ড লাইনে সংঘর্ষে জড়ায় দুই বাহিনী। তিনি আরও জানান, আফগান বাহিনী ৩ পাক সেনাকেও আটক করেছে বলে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি কাবুল এবং পাকটিকা প্রদেশে এয়ারস্ট্রাইকে হামলা চালায় পাকিস্তান। আর এরপর থেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন পোস্টগুলিতে হামলা চালাতে শুরু করে আফগানিস্তান। মূলত, আফগান-পাক সীমান্ত লাগোয়া প্রদেশ গুলি যেমন- হেলমন্দ, কান্দাহার, জাবুল, পাকটিকা, পাকটিয়া, খোস্ত, নানগারহের, এবং কুনারে হামলা চালাতে শুরু করে আফগানিস্তান।
এর আগে আফগানিস্তানকে হুমকি দিয়েছিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ। সংসদে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এরপরেই এয়ারস্ট্রাইক করে পাকিস্তান। তারপর থেকেই পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পোস্টে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে তালিবান বাহিনী।