মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৭ মাইলেরও বেশি গভীরে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসরের ইঙ্গিত! এ কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!
“নিউ ইয়র্ক সিটির কিছু অংশে কম্পন অনুভূত হয়ে থাকতে পারে,” — NYC ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানায়।
তারা আরও জানিয়েছে যে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং পার্টনার সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
advertisement
এই সাম্প্রতিক ভূমিকম্পটি সেই অঞ্চলে কয়েকদিন আগেই ঘটেছিল এমন একটি ভূমিকম্পের পরেই ঘটল।
শনিবার রাত ১০টা ১৮ মিনিট নাগাদ নিউ জার্সির হাসব্রুক হাইটসে ৩.০ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যা নিউয়ার্কের উত্তরে এবং মিডটাউন ম্যানহাটন থেকে প্রায় ২১ কিমি দূরে অবস্থিত। সেই কম্পন নিউ ইয়র্ক সিটির পাঁচটি বরোর (বিভাগ) জুড়েই অনুভূত হয়েছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে USGS বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছে, কারণ মূল কম্পনের পর আফটারশক বা পরবর্তী কম্পন আসতে পারে — যা কয়েক মিনিট, কয়েক ঘণ্টা বা এমনকি কয়েকদিন পরেও অনুভূত হতে পারে।
USGS এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আপনি যদি কম্পন অনুভব করে থাকেন, তাহলে আশপাশে কিছু স্থানচ্যুত জিনিসপত্র, পড়ে যাওয়া বস্তু বা ফাটল খুঁজে দেখুন। যদি কোনও ক্ষতি চোখে না পড়ে, তবে সঙ্গে সঙ্গে কোনও প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক সক্রিয় ভূকম্পীয় অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল পশ্চিম উপকূল — বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়া, যা সান আন্দ্রেয়াস ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত। এছাড়াও আলাস্কা, নেভাদা, উটাহ এবং প্রশান্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত।
নিউ ইয়র্ক যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার মতো উচ্চ ঝুঁকির ভূকম্পীয় অঞ্চলে অবস্থিত নয়, তবুও এটি মাঝারি ঝুঁকির জোন হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলটি রামাপো ফল্ট জোনের প্রভাবাধীন, যা নিউ জার্সি এবং আপস্টেট নিউ ইয়র্কের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত।