ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আকসু শহর থেকে ৮৪ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক রাজধানী উরুমকি থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহত বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের খবর পাওয়ার পরপরই, স্থানীয় দমকল বিভাগ দুটি গাড়ি দুর্যোগ এলাকায় পাঠিয়েছে। চিনের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, স্থানীয় পাওয়ার গ্রিড অপারেশন, তেল ও গ্যাস উৎপাদন ইউনিট এবং বড় পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প সংস্থাগুলিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সংস্থাগুলির উৎপাদন ও কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।
advertisement
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি চিন তাজিকিস্তানের সীমান্তের কাছে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের কথা জানিয়েছিল। সিসিটিভি জানিয়েছে, যে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল চিনের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে। কম্পণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে জিনজিয়াং অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চলের কাশগর ও আর্টাক্সেও অনুভূত হয়েছে। সিসিটিভি অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৫ কিমি নিচে। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তেমন হয়নি। তবে যেই এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পণ তীব্র অনুভব হয়েছে, সেখান জনবসতি খুব একটা বেশি ছিল না।
আরও পড়ুন, তুরস্কের মতো শক্তিশালী কম্পণ, প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল এই দেশ
আরও পড়ুন, তুরস্কের থেকেও ভয়ানক ভূমিকম্পে কাঁপবে দেশের এই রাজ্য, সতর্কতা বিজ্ঞানীদের
মাত্র কদিন আগেই ভয়ানক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিরিয়া এবং তুরস্ক। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার। গৃহহীন হয়েছে ১৫ লাখ মানুষ। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৮। তুরস্ক, সিরিয়ার এই ভূমিকম্পকে গত একশো বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের সবথেকে ভয়াবহতম বলে দাবি করা হচ্ছে।