আফগানিস্তানের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরবেলায় এই ভূমিকম্প (Afghanistan Earthquake) হয়েছে। বুধবার ভোরে রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রায় কেঁপে উঠেছিল দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর। ভূমিকম্পটি দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার (২৭ মাইল) দূরে অনুভূত হয়। কম্পনটির উৎস ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার অঞ্চল ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে। তবে ক্ষতি হয়েছে আফগানিস্তানেরই।
advertisement
কাবুলের এক বাসিন্দা European Mediterranean Seismological Centre-কে জানিয়েছেন, এদিন সকালে প্রচণ্ড কেঁপে ওঠে কাবুলের মাটি। কম্পন যে প্রবল শক্তিশালী ছিল বারবার তা বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী। একই ভাবে পাকিস্তানের তরফেও জানানো হয়েছে, সেদেশের পাঞ্জাব প্রদেশ ও খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও ভয়াবহ কম্পন (Afghanistan Earthquake) অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন : আগামী ২-৩ ঘণ্টায় কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) -এর তরফে জানানো হয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ভারতের প্রায় ১১৯ মিলিয়ন মানুষ এবং প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই কম্পন অনুভব করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামাবাদ এবং দেশের অন্যান্য অংশে মৃদু কম্পন আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে, লাহোর, মুলতান, কোয়েটা এবং পাকিস্তানের অন্যান্য এলাকাতেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তান থেকে অবশ্য তেমন কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত শুক্রবার রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং মুলতান সহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে কেঁপে উঠেছিল।
তালিবান প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান মহম্মদ নাসিম হাক্কানি বলেছেন, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা পাকতিকা প্রদেশে (Afghanistan Earthquake) ঘটেছে। সেখানে অন্তত ১০০ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার ও খোস্ত প্রদেশেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান প্রশাসন।