প্রস্তাবে উভয় পক্ষ চুক্তিটি মেনে নেওয়ার পর অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। এর পর ইজরায়েলি বাহিনী গাজার অভ্যন্তরে একটি উভয় পক্ষ দ্বার সম্মত রেখায় সেনা প্রত্যাহার করবে, এই সময়ে সমস্ত বিমান ও স্থল অভিযান স্থগিত থাকবে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামাস কর্তৃক আটক করা সমস্ত বন্দী, জীবিত এবং মৃত, ফিলিস্তানি বন্দী এবং আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে।
advertisement
ট্রাম্প এই কাঠামোকে গাজাকে ধ্বংস করে দেওয়া, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা এবং একাধিক আঞ্চলিক শক্তিকে আকৃষ্ট করা যুদ্ধের অবসানের দিকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে নিকটতম পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন, কিন্তু সতর্ক করে দিয়েছেন যে হামাস যদি এটি প্রত্যাখ্যান করে বা এর শর্ত লঙ্ঘন করে তবে ইজরায়েল সামরিকভাবে কাজ শেষ করবে।
বন্দীদের সম্পর্কে পরিকল্পনাটি কী বলে?
পরিকল্পনার প্রথম ধাপটি একটি বিশাল বিনিময়কে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। জীবিত বা মৃত সকল ইজরায়েলি বন্দীকে ইজরায়েলের স্বীকৃতির ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফেরত পাঠানো হবে। বিনিময়ে, ইজরায়েল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২৫০ জন ফিলিস্তানিকে মুক্তি দেবে এবং ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালের পরে আটক ১,৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রেফতার হওয়া নারী ও শিশুও রয়েছে। শুধু তাই নয়, ফিরে আসা প্রতিটি মৃত ইজরায়েলি বন্দীর জন্য ইজরায়েল যুদ্ধের সময় নিহত ১৫ জন ফিলিস্তানির দেহাবশেষ হস্তান্তর করবে।
এই সব প্রক্রিয়া চলাকালীন সমস্ত যুদ্ধক্ষেত্র খালি রাখা হবে এবং বোমাবর্ষণ স্থগিত রাখা হবে। এরপর ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার পর্যায়ক্রমে করা হবে, যা নিরস্ত্রীকরণের মানদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
চুক্তির অধীনে হামাসের কী হবে?
২০-দফা রোডম্যাপটি স্পষ্ট করে দেয় যে গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনও ভূমিকা থাকবে না, প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ বা সহযোগী গোষ্ঠীর মাধ্যমেও নয়। এই বাদ পড়ে যাওয়া আদতে ইজরায়েলিদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন এবং ট্রাম্পের সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল তৈরির দৃঢ় প্রত্যয়কে প্রতিফলিত করে।
একই সঙ্গে এই পরিকল্পনায় হামাস সদস্যদের সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার আহ্বান জানানো হয়নি। বরং এটি একটি শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা প্রদান করছে: যে সব যোদ্ধা নিরস্ত্রীকরণ করতে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দিতে সম্মত হন তাঁরা গাজায় থাকতে পারবেন। এটিকে উৎসাহিত করার জন্য প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিকভাবে অর্থায়িত একটি বাই-ব্যাক এবং পুনঃএকত্রীকরণ কর্মসূচি প্রতিষ্ঠা করবে, যার মাধ্যমে জঙ্গিরা আর্থিক বা সামাজিক সুরক্ষার বিনিময়ে অস্ত্র হস্তান্তর করতে পারে।
যারা এই ধরনের শর্তাবলীর অধীনে থাকতে অনিচ্ছুক তাদের নির্বাসনে নিরাপদে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। নথিতে বলা হয়েছে যে হামাস সদস্যরা তাদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তৃতীয় কোনও দেশেও স্থানান্তরিত করা হতে পারে, যদিও কোন দেশগুলি তাদের দরজা খুলতে পারে বা এই সদস্যরা বিদেশে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে কি না তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনাটিতে ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক গ্যারান্টারদের তত্ত্বাবধানে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা হামাসের সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার তত্ত্বাবধান করবেন, যার মধ্যে রয়েছে বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক এবং রকেট লঞ্চ প্যাড থেকে শুরু করে বছরের পর বছর ধরে সংঘাতের ইন্ধন জোগানোর অস্ত্র কর্মশালা।
মূলত, হামাস দ্বিমুখী বিকল্পের মুখোমুখি হচ্ছে: হয় শাসনব্যবস্থার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই নিরস্ত্র রাজনৈতিক সত্ত্বায় রূপান্তরিত হওয়া, অথবা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অধীনে নির্বাসন গ্রহণ করা। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় জোর দেওয়া হয়েছে যে গাজার ভবিষ্যতকে উগ্রপন্থীমুক্ত করতে হবে যাতে এটি আর কখনও ইজরায়েল বা প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির জন্য হুমকি না হয়ে ওঠে।
গাজা কে শাসন করবে?
ট্রাম্পের প্রস্তাবের একটি কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্য হল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা পরিচালনার জন্য দ্বি-স্তরীয় অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ গঠন করা। এর উদ্দেশ্য হল ক্ষমতার শূন্যতা রোধ করা এবং হামাসকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।
একটি টেকনোক্র্যাট ফিলিস্তানি কমিটি
স্থানীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন প্রশাসন একটি টেকনোক্র্যাটিক, অরাজনৈতিক ফিলিস্তানি কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে, যা যোগ্য পেশাদারদের সমন্বয়ে গঠিত এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সমর্থিত হবে। এই সংস্থাটি হাসপাতাল এবং স্কুল পরিচালনা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, জল এবং পৌর ব্যবস্থা পরিচালনা পর্যন্ত জনসেবার উপর কঠোরভাবে মনোনিবেশ করবে।
শান্তি বোর্ড
এর উপরে একটি আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান কাঠামো থাকবে, এটিই শান্তি বোর্ড, যার সভাপতিত্ব করবেন ট্রাম্প নিজেই। বোর্ডের দায়িত্ব হল শাসন কাঠামো নির্ধারণ করা, পুনর্গঠন তহবিল সমন্বয় করা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিতে সাহায্য যাতে না পাঠানো হয় তা নিশ্চিত করা। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে এর সদস্যদের একজন হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে , অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের যোগদানের আশা করা হচ্ছে।
বোর্ডের এই আদেশ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গেও স্পষ্টভাবে জড়িত, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের আধুনিক শহরগুলির আদলে গাজা পুনর্নির্মাণের কল্পনা করা হয়েছে। এটি প্রশাসনকে বিনিয়োগের সঙ্গে সংযুক্ত করে, যার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক দাতা এবং বিনিয়োগকারীদের গাজার স্থিতিশীলতার অংশীদার করা।
ফিলিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) পুনরায় নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা স্থায়ী হওয়ার কথা। তবে, এটি পরিকল্পনার সবচেয়ে বিতর্কিত উপাদানগুলির মধ্যে একটি। নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই গাজায় পিএ-এর ভূমিকা পালনের বিরোধিতা করেছেন, একে তিনি আমূল রূপান্তর বলে অভিহিত করেছেন, যা পশ্চিম তীরের কর্তৃপক্ষের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী ইজরায়েলি অবিশ্বাসেরই প্রতিফলন।
পরিকল্পনাটি সাহায্য এবং পুনর্গঠন সম্পর্কে কী বলে?
মানবিক সহায়তাকে তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। চুক্তিটি গ্রহণের পর:
– খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি এবং জল, বিদ্যুৎ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মতো অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের জন্য উপকরণ সহ পূর্ণ সাহায্য প্রবাহ পুনরায় শুরু হবে।
– বিতরণ জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং নিরপেক্ষ সংস্থাগুলি দ্বারা পরিচালিত হবে, যেখানে ইজরায়েল বা হামাস কেউই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
– ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে হওয়া মানবিক চুক্তির আওতায় গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিংটি পুনরায় চালু করা হবে।
– অর্থনৈতিকভাবে এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য ট্রাম্প অর্থনৈতিক উন্নয়ন উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক প্রদানের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এবং সংঘাতের পরিবর্তে সমৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে নতুন গাজা রূপান্তরের উপর জোর দেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী কী ভূমিকা পালন করবে?
এই পরিকল্পনায় চুক্তির পরপরই একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ISF) তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে। এর ভূমিকাগুলির মধ্যে রয়েছে:
– যাচাই করা ফিলিস্তানি পুলিশকে প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদান।
– ইজরায়েল ও মিশরের সঙ্গে সমন্বয় করে গাজার সীমান্ত সুরক্ষিত করা।
– গাজায় অস্ত্র পাচার রোধ করা।
– পণ্য ও সাহায্যের নিরাপদ চলাচল সহজতর করা।
আইএসএফকে আঞ্চলিক গ্যারান্টাররা সমর্থন করবে, যেখানে জর্ডন এবং মিশরকে তাদের পুলিশ দক্ষতার জন্য বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইএসএফ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর পরই ইজরায়েলি বাহিনীকে ধীরে ধীরে দখলকরা এলাকাগুলি হস্তান্তর করতে হবে এবং অবশেষে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, যদিও গাজা নিরাপদ বলে বিবেচিত না হওয়া পর্যন্ত ইজরায়েল একটি জায়গায় উপস্থিতি বজায় রাখতে পারে।
এই পরিকল্পনা কি ফিলিস্তানি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়?
এই প্রস্তাবে ফিলিস্তানি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া নেই, তবে এটিকে একটি আকাঙ্ক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গাজার পুনর্গঠন এবং ফিলিস্তানি অঞ্চলের সংস্কারের কাজ শুরু হলে ইজরায়েল ও ফিলিস্তানিদের মধ্যে সংলাপের জন্য একটি রাজনৈতিক দিগন্ত তৈরি হবে এমনটাই কল্পনা করা হয়েছে।
এই নথিতে পুনর্বিকাশ এবং সংস্কারকে ফিলিস্তানিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের চূড়ান্ত সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তবে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইজরায়েলকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে না, রাষ্ট্রত্বকে তাৎক্ষণিক গ্যারান্টির পরিবর্তে একটি দূরবর্তী, শর্তাধীন ফলাফল হিসাবে রেখে দেয়।
পরিকল্পনাটি কীভাবে গৃহীত হচ্ছে?
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন কিন্তু গাজায় ফিলিস্তানি কর্তৃপক্ষের সরাসরি ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করেছেন, যা তাঁর জোটের মধ্যে উত্তেজনার প্রতিফলন, তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে হামাস যদি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তবে সামরিকভাবে তাদের নির্মূল করা হবে।
হামাস এখনও এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি এবং তাদের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ চুক্তিটি বন্দী এবং অস্ত্র সমর্পণের চুক্তির উপরেই নির্ভর করে রয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে, এই পরিকল্পনাটি এক অস্বাভাবিক বিধানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যেখানে ট্রাম্প নিজেই একটি নতুন শান্তি বোর্ডের সভাপতিত্ব করবেন, যার সদস্যদের মধ্যে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার থাকবেন, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গাজার প্রস্তাবিত যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখবে।
গাজার ভবিষ্যতের জন্য এর অর্থ কী?
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের রোডম্যাপটি সবচেয়ে বিস্তারিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ, যার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শর্ত, অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থা, নিরস্ত্রীকরণ, সাহায্য এবং অর্থনৈতিক প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে প্রথমবারের মতো ইজরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীর কাছে নিরাপত্তা দায়িত্ব হস্তান্তরে সম্মত হবে।
তবুও এর সাফল্য হামাসের প্রতিক্রিয়া, ইজরায়েলের নেতৃত্বের ঐক্য এবং নিরাপত্তা ও পুনর্গঠন উভয় ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আগ্রহের উপর নির্ভর করে। ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ছাড়াই পরিকল্পনার কিছু অংশ, যেমন সাহায্য করিডোর এবং সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল, শুধুমাত্র ইজরায়েল কর্তৃক পরিষ্কার করা এবং আইএসএফ-এর কাছে হস্তান্তরিত এলাকাগুলিতে প্রযোজ্য হতে পারে।
আপাতত, ট্রাম্পের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক শান্তি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে গাজা একটি টেকনোক্র্যাটিক ফিলিস্তানি কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে, যদিও সংস্কারের উদ্যোগ নিলে দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যেতে পারে, নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই এই সম্ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এর অর্থ হল গাজায় কে শেষ পর্যন্ত শাসন করবে সেই প্রশ্নটি অন্তত এখনও পর্যন্ত অমীমাংসিত থেকেই যাচ্ছে!