ট্রাম্প যে ঘোষণা করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপরে ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা৷ চিনে তৈরি পণ্যের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে, তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশ, জাপানের জন্য ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে৷
advertisement
ট্রাম্পের কথায়. নরেন্দ্র মোদি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ভারতীয় পণ্যেপ উপরে বছরের পর বছর কোনও শুল্ক চাপায়নি আমেরিকা৷ ট্রাম্প বলেন, আমি একটি ঐতিহাসিক নির্দেশনামায় সই করে পাল্টা শুল্ক চাপানো শুরু করছি৷ আমাদের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি যা করে, এবার থেকে আমরাও তাই করব৷ ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি দয়ালু বলেই এই সমস্ত দেশ মার্কিন পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে যা শুল্ক চাপায়, তিনি তার অর্ধেক শুল্ক আদায় করছেন৷
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, আমেরিকা যেখানে বিদেশে তৈরি মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে মাত্র ২.৪ শতাংশ হারে শুল্ক আদায় করে, সেখানে আমেরিকায় তৈরি মোটরসাইকেল আমদানি করার ক্ষেত্রে ভারত এবং ভিয়েতনামের মতো দেশগুলি যথাক্রমে ৭০ এবং ৭৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়৷ ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে বিদেশে তৈরি যে কোনও গাড়ি আমেরিকায় রফতানি করতে গেলে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে৷ ট্রাম্প বলেন, ‘শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে এই ভয়ঙ্কর বৈষম্য আমাদের শিল্প ভিত্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে৷ এর জন্য আমি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে দোষ দিচ্ছি না, বরং আমাদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরাই নিজেদের কাজটা ঠিক মতো করেননি৷’
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের কোন দেশের উপরে কত শতাংশ হারে শুল্ক চাপালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প-
ভারত- ২৬ শতাংশ
চিন- ৩৪ শতাংশ
বাংলাদেশ- ৩৭ শতাংশ
পাকিস্তান- ২৯ শতাংশ
শ্রীলঙ্কা- ৪৪ শতাংশ
মায়ানমার- ৪৪ শতাংশ
থাইল্যান্ড- ৩৬ শতাংশ
সুইৎজারল্যান্ড- ৩১ শতাংশ
যুক্তরাজ্য (ইউকে)- ১০ শতাংশ
লেসোথো- ৫০ শতাংশ
মরিশাস- ৪০ শতাংশ
মাদাগাস্কার- ৪৭ শতাংশ
ফিজি- ৩২ শতাংশ
ভিয়েতনাম- ৪৬ শতাংশ
লিচটেনস্টিন- ৩৭ শতাংশ
গুয়েনা- ৩৮ শতাংশ
আলেজেরিয়া- ৩০ শতাংশ
ইজরায়েল- ১৭ শতাংশ
ওমান- ১০ শতাংশ
উরুগুয়ে- ১০ শতাংশ
নামিবিয়া- ২১ শতাংস
কাতার- ১০ শতাংশ
বাহামাস- ১০ শতাংশ
সৌদি আরব- ১০ শতাংশ