প্রেস বিবৃতিতে কনিষ্ঠতম এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমার বিয়ে এখন হচ্ছে না। করোনার বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে বেশ কয়েকটি বিধি-নিষেধ নিয়ে কঠোর হতে হয়েছে।" বর্তমানে ১০০ জন করোনা টিকা নেওয়া মানুষই যে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আশার আলো, ওমিক্রনের পরে ইউরোপে শেষ হতে পারে করোনা অতিমারির প্রভাব! বলছে WHO
advertisement
তিনি আরও বলেন, "আমি অনেক নিউজিল্যান্ডবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি, যারা করোনার জেরে ভুক্তভোগী এবং নিজের বিয়ে পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। আমিও সেই সব নিউজিল্যান্ডবাসীর সঙ্গে যোগ দিচ্ছি। আমার মতো যদি কারও পরিস্থিতি হয়ে থাকে তাঁর জন্য আমি দুঃখিত। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী (New Zealand Prime Minister) নিজের বিয়ের কথা বলতে গিয়ে জানান, দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মোটুয়েকা এলাকায় সম্প্রতি একটি পরিবারের ৯ জনের দেহে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron) হদিশ পেয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই অকল্যান্ডে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে ফিরেই তাঁদের শরীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। জানা যায়, তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর এই ৯ জন আরও অনেক জায়গায় গিয়েছেন। ফলে তাঁদের থেকে ওমিক্রন আরও বেশ কয়েকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই ঘটনা-সহ বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ নতুন করোনা বিধি-নিষেধ দেশে জারি করতে বাধ্য করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিডমুক্ত হওয়ার পর পুরনো টুথব্রাশ পাল্টাননি? জানুন কী সর্বনাশ করছেন নিজের ও পরিবারের
বর্তমানে ভিড়ে গেলে, বিশেষ করে দোকান এবং বাসে বা ট্রেনে চড়লে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এদেশে।
এদিকে, বিয়ে বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি উত্তর দেন, এটাই জীবন। বিয়ে ঠিক কবে হওয়ার কথা ছিল, তা জানা না গেলেও জানা যায়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিয়ে বাঁধনে আবদ্ধ হতে চলেছিলেন আর্ডার্ন ও তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড (Clarke Gayford)।
প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একসময় দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। করোনা রোধে তাঁর এমন সিদ্ধান্তে ফের বাহবা দিচ্ছে গোটা বিশ্ব।