এক নরখাদকের হাড়হিম করা ঘটনা! বছর দুই আগে, ২০২০ সালে, বার্লিনের প্রাক্তন শিক্ষক ৪২ বছরের স্টেফান (নাম পরিবর্তিত) এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ডেটিং অ্যাপ’-এর মাধ্যমে পরিচয় করেছিলেন । কথায়, চ্যাটে হৃদ্যতা বাড়ে...স্টিফানকে পছন্দ করতে শুরু করেন সেই ব্যক্তি! এর পরই, তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান স্টিফান। তার পর তাঁকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে, গলার নলি কেটে খুন করে! এর পর যা ঘটে তাতে সত্যিই গায়ে কাঁটা দেয়। নিহত ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে খায় স্টিফান! তার বিশ্বাস ছিল, মানুষের যৌনাঙ্গ খেলে যৌনক্ষমতা বাড়বে। এরপর, মৃতের শরীর টুকরো টুকরো করে কেটে ছড়িয়ে দেয় বার্লিনের প্যাংকো জেলার বিভিন্ন জায়গায়।
advertisement
আরও পড়ুন: রোবট এবার পড়বে মানুষের মনের কথা, চিনে নয়া আবিষ্কারে আলোড়ন বিশ্বে
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে আচমকাই স্টিফানের বাড়ির পাশের পার্কে মানুষের হাড় উদ্ধার হয়। তারপরেই তদন্তে নামে জার্মানির পুলিশ। হাড়ের ফরেনসিক করে দেখা যায় সেগুলি ৪৩ বছর বয়সী জো-এর (নাম পরিবর্তিত), তাঁর নামে ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের হয়েছিল স্থানীয় থানায়। এর পর নিহতের ফোন রেকর্ড ঘেঁটে নরখাদক স্টেফানের ঠিকানা খুঁজে পায় পুলিশ। বাড়িতে হানা দিয়ে দেখা যায়, গোটা বাড়িতে রক্তের দাগ ও সন্দেহজনক কিছু অস্ত্র। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি নিহতের।
আরও পড়ুন:পুরুষদের গোপন যৌন সুখ...নিজের বাতকর্মের গ্যাস বিক্রি করে আজ কোটিপতি মহিলা
অবশ্য, স্টেফানের আইনজীবীর যুক্তি ছিল স্টেফানের বাড়িতে আচমকাই মৃত্যু হয় জো-এর। সেটি স্বাভাবিক মৃত্যুই ছিল, সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে। তাতেই ভয় পেয়ে যান স্টেফান, মনে করেন এইবার বুঝি প্রকাশ্যে আসবে তিনি সমকামী, তাই মৃতের দেহ লোপাট করতে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দেন। কিন্তু বিচারক তাঁর সাফাই বিশ্বাস করেন না। তার পালটা প্রশ্ন ছিল, কীভাবে মৃতের শরীর থেকে যৌনাঙ্গ আলাদ হল? এবং সেই যৌনাঙ্গ কোথায়? তখন স্টেফান স্বীকার করেন, ওই ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে এসে হঠাৎ মারা গিয়েছিলেন। তার পর তিনি তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে খেয়েছিলেন।