কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে সম্ভাব্য ৮ প্রার্থীর নাম উঠে আসছে। এঁদের মধ্যে ২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তবে অনিতা আনন্দের দাবিই সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে অনিতা কানাডার পরিবহণ এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অনিতার জন্ম কানাডার নোভা স্কশিয়ার কেন্টভিলে। মা সরোজ ডি. রাম এবং বাবা এস.ভি আনন্দ, উভয়েই চিকিৎসক। তাঁর দুই বোন, গীতা এবং সোনিয়া। অনিতা ছোট থেকেই মেধাবী। কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন। এরপর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীকালে টরেন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে আইনে স্নাতকোত্তর হন।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ, মালদহে কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার তৃণমূলেরই টাউন সভাপতি! ধৃত বেড়ে ৭
২০১৯ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন অনিতা। খুব অল্প দিনেই লিবারেল পার্টির পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। জায়গা পান ট্রুডো মন্ত্রিসভাতেও। অনিতার বাবা তামিল। মা পঞ্জাবি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৭ বছর। রাজনীতিতে অনিতার উত্থান ধুমকেতুর মতোই। ট্রুডো মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন অনিতা। কোভিড মহামারীর সময় তিনি ছিলেন জনসেবা ও ক্রয় মন্ত্রী। কানাডাবাসীর জন্য তাঁর ভ্যাকসিন আনার প্রচেষ্টা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। ২০২১ সালে অনিতা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ান তিনি। কানাডার সেনা বাহিনীর দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টাও করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারত এবং কানাডা বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রুডো মন্ত্রিসভায় খালিস্তানিদের জায়গা দেওয়ার পর থেকেই সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। ২০২৩ সালের জুন মাসে খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ভারতীয় পড়ুয়াদের ভিসায় একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করেন ট্রুডো। এই সিদ্ধান্তে নিজের দলেো কোণঠাসা হয়ে পড়েন। লিবারেল পার্টির ২০ জনের বেশি সদস্য প্রকাশ্যে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। এখন অনিতা প্রধানমন্ত্রী হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ফের জোড়া লাগতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।