ঘটনার শুরুটা ২০২৫ সালের মার্চ মাসে, তিয়ানজিনের বাসিন্দা দুই সন্তানের পিতা সান-এর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে, সান আইনগতভাবে তার তিন মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় ৩.৬ কোটি টাকা) মুল্যের একটি বাড়ি তাঁর ছেলের নামে হস্তান্তর করে যান। তবে তিনি অন্য একটি নোটে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি সেখানে লেখেন ১৯৬৬ সালে দত্তক নেওয়া কন্যাকে যেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সেই কথা উল্লেখ করেন।
advertisement
ছেলের প্রতি বাবার এই পক্ষপাত ভালভাবে নেননি তাঁর কন্যা। সম্পত্তি হস্তান্তরের বিরোধিতা করে তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান ওই চুক্তিতে কেবল তাঁর বাবার স্বাক্ষর রয়েছে কিন্তু প্রয়াত মায়ের স্বাক্ষর নেই। তাই তাঁর মায়ের অংশটুকু উত্তরাধিকারসূত্রে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ঘটনা! ট্রাম্পের ‘দ্য বিস্ট’-এ পা রাখলেন পুতিন…বিনিময়ে যা চাইলেন
কিন্তু, মামলা চলার সময় পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে যায়। কন্যা আদালতে প্রমাণ হিসাবে এমন একটি নথি জমা দেন, যেখানে দেখা যায় যে তাঁর ভাই আদতে বাবা মায়ের আসল সন্তান নন। তাঁরা সরকারিভাবে ‘দত্তক’ নিয়েছিলেন তাঁকে। এই তথ্যপ্রকাশের পর যখন কন্যার দিকে মামলা ঘুরে যেতে থাকে তখন পাল্টা নথি প্রকাশ করেন ভাই। তাতেই জানা যায় শুধু ছেলে নয়, মেয়েকেও দত্তক নিয়েছেন ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হল না
এরপরে আদালতের রায় হয় চিনের দেওয়ানি আইন অনুসারে। সেই আইন অনুসারে দত্তক নেওয়া সন্তানদেরও সমান উত্তরাধিকারযোগ্য সম্পত্তির অধিকার রয়েছে। অবশেষে, আদালতের মধ্যস্থতায় ভাই এবং তাঁর বোনকে ৫৫০, ০০০ ইউয়ান অর্থাৎ প্রায় ভারতীয় মুদ্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন।