বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে তথ্যানুসন্ধানের পর আজ বৃহস্পতিবার সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি বেসরকারি সংগঠন যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেখানেই এসব বিষয় উঠে এসেছে।
বিবিসিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে রামপালের ওই কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের সীমানার ১৪ কিলোমিটারের ভেতরে নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশে সাউথ এশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটসের সদস্য সুলতানা কামাল বিবিসিকে জানিয়েছেন, যে দূরত্বের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আসলে নিষিদ্ধ দূরত্বের মধ্যেই। সুন্দরবনের কাছাকাছি এরকম একটি প্রকল্প বনটির জন্য বড় বিপদজনক। তিনি আরও জানিয়েছেন, কয়লা কোথা থেকে আসবে, কিভাবে পরিবহন করা হবে, কয়লার যেসব আবর্জনা নদিতে জমবে, সেগুলি কিভাবে পরিষ্কার হবে, এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়। এসব কারণে সুন্দরবনের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও পরিবেশবিদদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যেই সেখানকার জলজ প্রাণীর উপর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সুলতানা কামাল জানান। কারণ সেখানের শুশুক বা ডলফিনগুলি এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন মহলের এত আপত্তির পরও কেন সরকার বিষয়টি নিয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা করছে না, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। বরং পর্যালোচনা করে রামপালের পরিবর্তে অন্যত্র কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে এই সংস্থাটি।
advertisement