বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের আরাম ও সুবিধার কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কথা ভাবেনি। তবে, এই পরিস্থিতিতে সরকার অন্য কোনও বিকল্প খুঁজে না পেয়েই জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানির দাম কমিয়ে ছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেই অনুযায়ী দাম সংশোধন করা হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বিশাল খবর! পুজোর আগেই ৩৮% মহার্ঘ্য ভাতার সম্ভাবনা
বিদ্যুৎ, শক্তি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, “বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে, আমাদের প্রতিবেশী সহ বেশ কয়েকটি দেশ নিয়মিত জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। ভারত প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৯২.৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে। ২২ মে থেকে কলকাতায় পেট্রোল প্রতি লিটার ১০৬.০৩ টাকায় বিক্রি হয়, যে দাম এখনও চলছে। বাংলাদেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে ১৩০.৪২ টাকা এবং ১১৪.০৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে।”
আরও পড়ুন- ৪৮ ঘণ্টা টিকিট ছাড়াই বাসে সফর! উত্তরপ্রদেশের 'বোনদের' আদিত্যনাথের রাখি উপহার
“কলকাতার তুলনায়, বাংলাদেশ আগে প্রতি লিটার ডিজেল ৩৪.০৯ টাকায় এবং পেট্রোল ৪৪.৪২ টাকায় বিক্রি করেছে। দাম বাড়ানো সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র,” জানিয়েছে মন্ত্রক। “উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন গত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি বিক্রিতে (সমস্ত পণ্য) ৮,০১৪.৫১ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেল বাজারের পরিস্থিতির কারণে, আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্যবৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে,” লেখা হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রকের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে।