পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান সহ সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, আমাদের কাছে তথ্য আছে, এমন একটা ঘটনা ঘটাবে, যাতে আমরা উদ্বোধনটা করতেই না পারি।''
আরও পড়ুন: গভীর রাতে গাড়ি আটকে মারাত্মক কাণ্ড ধূপগুড়িতে! নৃশংস ঘটনার শিকার মহিলারাও
advertisement
হাসিনার কথায়, ''পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরিকল্পনার প্রথম দিন থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। দুর্ভাগ্য, আমাদের একজন স্বনামধন্য মানুষ, যাকে আমি সবচেয়ে বেশি সুযোগ -সুবিধা দিয়েছিলাম। সেই ড. ইউনুস বেইমানি করেছেন। তিনি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে তিন লাখ ডলার ডোনেশন দিয়েছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে হিলারিকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন। হিলারি আমাকে ফোনও করেন। আমার কাছে ধর্ণা দেন, তাকে আমি আইনের কথা বলেছি। বিশ্ব ব্যাংকের কাছে বার বার মেইল পাঠান, দুর্নীতি হয়েছে বলা হয়। আমি বলেছিলাম- দুর্নীতির প্রমাণ দিতে হবে। আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম যে, এটা প্রমাণ করতে হবে। পরে এটা ভুয়ো প্রমাণ হয়েছে।''
আরও পড়ুন: লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ, সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার!
যদিও পদ্মা সেতু নির্মাণে বিএনপি কখনই বিরোধিতা করেনি বলে মন্তব্য করে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। তিনি বলেন, ''পদ্মা সেতু নির্মাণে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটির প্রতিবাদ করেছে বিএনপি। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতু নির্মাণে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা জনগণের টাকায়। শেখ হাসিনা নিজের আঁচল কিংবা সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা দেননি।''
