ঢাকা: আসল চেহারা বেরিয়েই গেল জুলাই আন্দোলনে প্রতিবাদী মুখ হয়ে উঠে আসা নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহদের। এবার জামাতের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে নাহিদ, হাসনাতদের দল এনসিপি। একদিকে যেমন বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে ১৭ বছর পর পা রাখলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, অন্যদিকে ঠিক সেই সময়ই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে।
advertisement
বিষয়টি নিয়ে দলের অনেকের সম্মতি থাকলেও একটি অংশের ভিন্নমতও আছে। জামাতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতা হবে কি না, তা দু-এক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে। এর আগে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের বোঝাপড়া হয়নি। এরপর জামাতের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জীবনাবসান, চলে গেলেন এক সময়ের দাপুটে CPIM নেতা
যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে আবার আলোচনার সম্ভাবনা দেখছেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা। তাঁরা তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। অবশ্য বিএনপির দিক থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও আভাস পাওয়া যায়নি।
এনসিপি নেতারা বলছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এরই মধ্যে জামাতের উচ্চতর নেতাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করছেন। এনসিপি অন্তত ৫০টি আসন চেয়েছে। তবে জামাতে ইসলামীর দিক থেকে এই সংখ্যাকে বেশি মনে করা হচ্ছে। যদিও জামাতের দিক থেকে এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা হয়নি। এ নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে জামাত ও এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আবারও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
জামাতের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়ার ব্যাপারে এনসিপির একটি অংশের সমর্থন আছে। তবে আরেকটি অংশের আছে ঘোর আপত্তি। জামাতের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা সামনে আসার পর দলটির একাংশের মধ্যে প্রতিক্রিয়াও হয়েছে। এরই মধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন জামাতবিরোধী অংশের নেতা হিসেবে পরিচিত মীর আরশাদুল হক। তিনি এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন।
