গত ২০ ডিসেম্বর নিহত ছাত্রনেতার পরিবারের ইচ্ছামতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই শায়িত হয়েছে ওসমানের দেহ৷ এদিন ওসমানের পাশাপাশি রাষ্ট্রকবির সমাধিস্থলেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারেক রহমান৷
advertisement
তারেকের এই কর্মসূচির জন্য শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়ার গোটা রাস্তাই যানবাহন ও পথচারীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ মোতায়েন রাখা হয় Rapid Action Battalion (RAB), Border Guard Bangladesh (BGB) এবং স্থানীয় পুলিশ৷
শরিফ ওসমান হাদি৷ ইনকিলাব মঞ্চের মুখ্য আহ্বায়ক তথা ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ৷ চলতি মাসে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সময় তাঁকে গুলি করে দুই বাইক আরোহী৷ মাথায় গুলি লাগে হাদির৷ পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে সিঙ্গাপুরেও নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে পৌঁছতেই বিক্ষোভ, তাণ্ডব শুরু হয় চতুর্দিকে৷ তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি৷
তারপরে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন৷ কিন্তু, এর মাঝেই একদিন হাদির দাদা অভিযোগ তোলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসেরাই তাঁর ভাইকে খুন করিয়েছে৷
এমন যখন টালমাটাল পরিস্থিতি তখন ১৭ বছর নির্বাসিত থাকার পরে দেখে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক৷
শনিবার হাদির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তারেক৷ তবে তাঁর নাম তালিকায় তোলা হবে কি না, সেই বিষয়ে রবিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি৷
