ঘরে-বাইরে হাঁটু থেকে কোমর সমান জলে দিশেহারা সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষ। বন্যার ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় সুনামগঞ্জের পর সিলেটও এখন সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। দুই জেলার বেশির ভাগ হাসপাতালে জল ঢুকে যাওয়ায় জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতেও সমস্যা হচ্ছে। জলবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে পাণীয় জলের তীব্র সংকট। তিন বেলা খাবার জোগাড় করাই এখন বন্যাকবলিত মানুষের জন্য বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন লাখ লাখ মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: মিজোরামে বসে বাংলার জন্য নতুন স্ট্র্যাটেজি দিলীপ ঘোষের, তুমুল শোরগোল দলেরই অন্দরে
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের দশ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যার কবলে পড়েছে। সে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের কথায়, ১২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে সিলেট ও সুনামগঞ্জে। ভারতের অসম-মেঘালয়ের প্রবল বৃষ্টির জেরেই পড়শি দেশের এই দুর্ভোগ বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেড় বছরের ভাইঝির কান্নার পরই বৌদির গলায় কোপ দেওরের! কী বীভৎস ঘটনা দেগঙ্গায়
বিপদ আরও বাড়াচ্ছে টানা বৃষ্টি। শনিবারও অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল অব্যাহত ছিল। প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। বিমানবন্দরের পর রেলস্টেশনে জল ওঠায় সিলেটের সঙ্গে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, খাদ্যগুদাম থেকে শুরু করে টিঅ্যান্ডটি অফিস-জরুরি সেবা দেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তলিয়ে আছে জলের নিচে। সিলেটের কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি দল শনিবার জলের কারণে সিলেট শহরে ঢুকতে না পেরে ঢাকায় ফিরে গিয়েছে। বগুড়া, জামালপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটেও দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।