এই এলাকাটি " রামধনু উপত্যকা " বলে পরিচিত। এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে মৃত অভিযাত্রীদের পরনে রঙিন পোশাকের উজ্জলতার কারণেই এই নামকরণ। শেরপাদের দাবি, সাদা বরফের মধ্যে পরে থাকা এই দেহগুলির পরনের পোশাক তাদের সঠিক পথ দেখায় এবং কিছুটা সতর্ক করে। তবে শেরপা বা অভিযাত্রীরা এই দেহগুলির সংস্পর্শেও আসেন না।
দেহগুলির ছোঁয়া লাগা মানে যাত্রা অশুভ হওয়ার ইঙ্গিত। ফলে দেহগুলির আশেপাশ দিয়ে কেউ যায় না। প্রশ্ন উঠছে, এই দেহগুলি কেন ওখান থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ করছে না নেপাল সরকার! যেখানে এই বছর অভিযান থেকে ২৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে নেপাল সরকার, তা হলে কেন এই দেহ নামানোর কাজ করছে না তারা!
advertisement
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের সুন্দরী বিধায়কের অশ্লীল ভিডিও লিক হতেই ভাইরাল, তারপর
নেপাল সরকারের ট্যুরিসম বিভাগের দাবি, বেশির ভাগ দেহ বিদেশী পর্যটকদের। সেক্ষত্রে অভিযাত্রীদের পরিবার বা সেই দেশের সরকার দেহগুলিকে উদ্ধারে আবেদন বা ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি। তাই সেগুলি নামানো সম্ভব হয়নি | মৃত অভিযাত্রীদের সঙ্গীরা কোথাও কোথাও তাদের সঙ্গীকে শেষ সন্মান জানিয়ে তাদের দেশের পতাকা দিয়ে মুড়ে রেখে এসেছে।
পরবর্তী কালে সেই দেশের অভিযাত্রী একবার "রামধনু উপত্যাকায় " দাঁড়িয়ে তাদের দেশের মৃত অভিযাত্রীদের দেহের পাশে দাঁড়িয়ে সন্মান জানিয়ে যান। অন্য দিকে শেরপাদের দাবি, এই দেহগুলি যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে দেহ নামানো খুব কঠিন কাজ। একেবারে এভারেস্ট চূড়ার কিছুটা আগেই "হিলারি ষ্টেপের" আগেই পরে রয়েছে দেহগুলি। কিছু কিছু দেহ " হিলারি ষ্টেপের" ওপরে পরে থাকলে সেইগুলিকে নামিয়ে রাখা হয় এই উপত্যকায়। কারণ হিলারি স্টেপ হচ্ছে এই অভিযানের শেষ কঠিন রাস্তা। এই হিলারি স্টেপ একজন একজন করে অতিক্রম করতে হয়।
আরও পড়ুন- মৃত প্রিয়জনের আত্মা নিতে এসেছে ! কথা বলছে ! নিজে চোখে দেখলেন নার্স! ভাইরাল ভিডিও
সেক্ষেত্রে সেই রাস্তায় দেহ পরে থাকলে অন্য অভিযাত্রী সেখান দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন না। এভারেস্ট অভিযানের সামিট ক্যাম্পের কিছুটা ওপরেই অবস্থিত এই মৃতদেহের উপত্যকা বা রামধনু উপত্যকা। এই মুহূর্তে প্রায় তিনশোটি দেহ পরে রয়েছে এই উপত্যকায়। কোনটি ২০০৬ সালের, কোনটি আরও আগের।
এভারেস্ট অভিযানের যে সংস্থাগুলি রয়েছে, তাদের দাবি, একটি দেহ নামতে ২-৩ লক্ষ টাকা খরচ। সেক্ষত্রে পরিবার বা সরকার উদ্যোগী না হলে সেই দেহ নামানো সম্ভব নয় | অন্যদিকে, তৃতীয় বা চতুর্থ ক্যাম্প পর্যন্ত দেহ নামানো সম্ভব। কিন্তু তার ওপরে থাকা দেহ নামাতে খরচ ও ঝুঁকি দুই-ই বেশি।