৫৪ বছর বয়সী স্পেনসার টিউনিকের অদ্ভুত ধরণের ছবি তোলার জন্য খ্যাতি রয়েছে। তিনি প্রায়শই বড়সড় ন্যুড শ্যুটের আয়োজন করে থাকেন। তবে এবারে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে চেয়ছেন টিউনিক। ডেড সি-র দ্রুত অবনতির অবস্থা তুলে ধরা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডেড সি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এই ফটোশ্যুট বলে দাবি করেছেন তিনি।
advertisement
বিবিসি-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, জীবন্ত ইনস্টলেশনে সামুদ্রিক ছোঁয়া দিতে ২০০ নারী-পুরুষের শরীরে নুনের মতো সাদা রঙ করেন টিউনিক। আলোকচিত্রীর কথায়, ‘সক্ষমতা এবং দূর্বলতা, একই শরীরের দ্বৈত রূপ। নগ্ন স্বত্বার মধ্যে দিয়ে যা খুব সহজেই ফুটিয়ে তোলা যায়।’
আরও পড়ুন- হাওড়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালুর পরিকল্পনা কেন্দ্রের, শুরু সার্ভে
তবে এবারও বিতর্ক টিউনিকের পিছু ছাড়েনি। কিছু ইহুদী এই নগ্ন ফটোশ্যুটে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে সে সবে পাত্তা দেননি তিনি। এর আগে একবার আলোকচিত্রীকে ব্যান করার দাবিতে ‘স্পেনসার টিউনিক’ বিল আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এক ইজরায়েলি আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে টিউনিকের সহাস্য জবাব, ‘আমি ভাগ্যবান আমাকে আটকাতে আমার নামে বিল আনা হচ্ছে। এটা তো সম্মানের। তবে আমি মনে করি, জীবনে অন্তত একবার নগ্ন হয়ে আমার ফটোশ্যুটে অংশ নেওয়ার জন্য বিল আনা উচিত।’
আলোকচিত্রীর ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯২-৯৪ সাল থেকে নগ্ন ছবি-ভিডিও তোলার কাজ করছেন টিউনিক। মন্ট্রিওল, লন্ডন, ক্লিভল্যান্ড, আমস্টারডাম-সহ প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়েই এই এই ন্যুড হিউম্যান ইনস্টলেশনের প্রজেক্ট রয়েছে তাঁর। তাঁর শ্যুটে অংশ নেওয়া মানুষেররাও মুক্তকন্ঠে জানিয়েছেন, এই অভিজ্ঞতা একেবারেই অনন্য। টিউনিকের মতে, ‘পোশাকমুক্ত অগণিত মানুষ যে দৃশ্যকল্প রচনা করে তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না’।
দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, গত দু’দশক ধরে ৩০ শতাংশ হারে শুকিয়ে যাচ্ছে ডেড সি। পরিবেশ নিয়ে সচেতন না হলে এই হার বজায় থাকবে তো বটেই, এমনকী তা বাড়তেও পারে বলে পূর্বাভাস। এমনিতেই ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের মধ্যে জল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের বন্টন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তারওপর এই অবস্থা চলতে থাকলে জর্ডন, ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের মধ্যে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।