TRENDING:

কাঁটাতার জড়ানো লাঠির আঘাত, নদীর জলে ঝাঁপ দিয়েছেন অনেকে, কেমন ছিল ভয়াবহ যুদ্ধের রাত

Last Updated:

সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, অন্তত ২৪ জন জওয়ান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসাধীন ১১০ জন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিন ভারতের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লেগে গেল। রাতের অন্ধকারে আট ঘণ্টা ধরে পাথর ও রড দিয়ে আক্রমণ শানাল চিনা সেনা। লাগাতার মারা হল কাটাতার জড়ানো ব্যাটন দিয়েও। লেহ এর এক হাসপাতালে ভর্তি বেঁচে ফেরা এক সেনা জওয়ানের জবানবন্দি নিয়ে নিউজ১৮ এর কাছে এই ভয়াবহ কালরাত্রির বর্ণনা তুলে ধরলেন এক সরকারি আধিকারিক।
advertisement

চিনের পিপিল লিবারেশন আর্মির এই অতর্কিত হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩ জনের। এর মধ্যে রয়েছেন কর্নেল সন্তোষ বাবু। মঙ্গলবার সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, স্রেফ খণ্ডযুদ্ধ নয়, প্রবল ঠান্ডাতেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের।

প্রাণে বেঁচে ওঠা এক সেনাকর্মীর কথায়, "বহু নিরস্ত্র জওয়ানকে ওরা মেরেছে। অনেকে এই আচমকা হামলা থেকে বাঁচতে গলওয়ান নদীতে ঝাঁপ দেন। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, অন্তত ২৪ জন জওয়ান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসাধীন ১১০ জন।

advertisement

পিএলএ গোটা ঘটনার দায় চাপাচ্ছে ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের উপর। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। জানা যাচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন অংশ থেকে সেনা সরাচ্ছিল ভারত চিন দুই পক্ষই। চিন কোনও অজ্ঞাত কারণে গলওয়ান থেকে সেনা সরাতে চায়নি। কর্নেল বাবু সেনা কমানোর বিষয়ে বৈঠক করেন চিনা সেনার সঙ্গে। বৈঠক শেষে তাঁর নেতৃত্বেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের দিকে চিনের তাবু ও নজরদারি পোস্ট ভেঙে দেওয়া হয়। এর পরেই ফিরে আসেন চিনা সেনারা। বড় পাথর ছুঁড়তে থাকে ভারতীয়দের লক্ষ্য করে। সম্পূর্ণ নিরস্ত্র অবস্থাতেই প্রাণ দিতে হয় বহু ভারতীয় সেনাকে।

advertisement

বেজিং থেকে এই ঘটনায় এখনও কোনও বিবৃতিই জারি করা হয়নি। ভারতীয় সেনার দাবি, অন্তত ৪০ জন চিন সেনা এই ঘটনায় হয় আহত হয়েছেন নয় মারা ‌গিয়েছেন।

কেন ৬ জুনের কোর কমান্ডর বৈঠকের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করলল চিন, কেনই বা ১৪ নং পয়েন্টের কাছে একটা তাঁবু রেখে দিতে চাইল চিন, সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

বিশেষজ্ঞদের মত, ভারতের লজিস্টিক পরিকাঠামগত বিকাশই মাথাব্যথা চিনের। সেই উদ্বেগেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে বার্তা দিতে চাইছে চিন সেনা। এমনকী তারা ভারতের অঞ্চল দখলের অভিসন্ধিতেও আক্রমণ শানাতে পারে।

বাংলা খবর/ খবর/ভারত-চিন/
কাঁটাতার জড়ানো লাঠির আঘাত, নদীর জলে ঝাঁপ দিয়েছেন অনেকে, কেমন ছিল ভয়াবহ যুদ্ধের রাত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল