TRENDING:

সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত, ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে: জয়শঙ্কর

Last Updated:

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিন সীমান্ত স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে৷ দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাড়িয়েছে নিজের সেনা সংখ্যা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) শান্তি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে এবং স্পষ্টতই এটি ভারত ও চিনের সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলেছে। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিন সীমান্ত স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে৷ দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাড়িয়েছে নিজের সেনা সংখ্যা। শনিবার এক বিবৃতি দিয়ে এমনই জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷
advertisement

জয়শঙ্কর তাঁর লেখা 'দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে: স্ট্র্যাটেজিজ ফর আন সার্টেন ওয়ার্ল্ড' বই নিয়ে একটি ওয়েবিনারে বলেন যে, গত তিন দশকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিকাশের ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে বদলেছে৷ চিন-ভারত সীমান্ত নিয়ে প্রশ্ন একটি অত্যন্ত জটিল এবং কঠিন বিষয়। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি 'অত্যন্ত কঠিন' পর্যায়ে রয়েছে যা ১৯৮০ এর শেষ দিক থেকে সীমান্তে শান্তি ভিত্তিক বাণিজ্য, ভ্রমণ, পর্যটন এবং সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাভাবিক হয়েছিল।

advertisement

জয়শঙ্কর বলেন, 'আমাদের এই সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা উচিত নয়। এটি একটি খুব জটিল এবং কঠিন বিষয় ঠিকই। বিভিন্ন স্তরে অনেক আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য সীমান্ত সমস্যা মেটাতে হবে।

পূর্ব লাদাখের সীমান্ত পরিস্থিতি উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, "এখন যদি শান্তি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় তবে স্পষ্টতই কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রভাবিত হবে এবং আমরা এটিই দেখছি।" বিদেশমন্ত্রী বলেছেন বিশ্ব বাজারে যে চিন ও ভারতের যথাক্রমে উন্নতি হচ্ছে৷ দুই দেশই উদীয়মান এবং বিশ্বে বড় ভূমিকা গ্রহণ করছে৷ তবে উভয় দেশ কীভাবে একযোগে কাজ করতে পারে সেটাই এখন 'বড় প্রশ্ন'।

advertisement

তিনি বলেন, 'এটি মৌলিক বিষয় যার ভিত্তিতে আমি বইটিতে মনোনিবেশ করেছি।' পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিরোধ শুরু হওয়ার আগে তিনি এপ্রিল মাসে বইটি লেখা শেষ করেছিলেন। অর্থনীতি, সামরিক ও অন্যান্য কারণে চিনের সঙ্গে কম ঝুঁকির কারণে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও বেশি হওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে বিদেশমন্ত্রীর কাছে তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পৃথক সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি এবং প্রশাসনের কথা উল্লেখ করেছেন।

advertisement

জয়শঙ্কর আরও বলেন, তিনি চান ভারতের আরও দ্রুত বিকাশ ঘটুক এবং আরও দক্ষ হোক তবে চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণে এটি হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেছেন, 'আমি মনে করি আমাদের নিজেদের জন্য এটি করতে হবে। একরকমভাবে আমরা বিশ্বের প্রত্যেকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি।

বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আমি মনে করি আমরা চিনের থেকে কিছু শিখতে পারি। তবে একই সঙ্গে এটিও খুব স্পষ্ট যে আমরা চিন নই। লোকেরা আমাদের সমাজবিজ্ঞান আলাদা, আমাদের রাজনীতি আলাদা, আমাদের শাসনের ধরণ আলাদা। তিনি বলেছিলেন, 'আলাদা পথের অভিজ্ঞতা থেকে আপনি কীভাবে শিখতে পারেন? আমরা যদি আলাদা হয়, তবে সেভাবেই চলতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

গত সাত দশকের রাজনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর৷ ইউরোপের সমৃদ্ধি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জাপানের পুনরুদ্ধার, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং পরবর্তীকালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উত্থানের কথা উল্লেখ করেন তিনি৷ কিন্তু বলেছিলেন যে টার্নিং পয়েন্টটি এসেছিল ২০০৮ এ। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কট যখন প্রকাশ পেয়েছিল এবং চিন, ভারত এবং ১০ টি দেশের আসিয়ান গ্রুপের উত্থান হয়েছিল।

বাংলা খবর/ খবর/ভারত-চিন/
সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত, ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে: জয়শঙ্কর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল