লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য এ দিন বিকেলেই সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে অংশ নেন৷ এছাড়াও উদ্ধব ঠাকরে, এম কে স্ট্যালিন, সীতারাম ইয়েচুরি, নীতীশ কুমার, জগন মোহন রেড্ডি, এন চন্দ্রবাবু নাইডু, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদবের মতো নেতাদের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন৷
advertisement
জানা গিয়েছে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রথমে সরকারের তরফে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং লাদাখের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের অবহিত করেন৷ বৈঠকে উপস্থিত নেতানেত্রীদের মধ্যে প্রথম বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি৷ সর্বদলীয় বৈঠককে স্বাগত জানিয়েও তিনি বলেন, আরও আগে এই বৈঠক ডাকা উচিত ছিল সরকারের৷ শুধু তাই নয়, ঠিক কবে থেকে চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে আছে, তাও সরকারের কাছে জানতে চান সনিয়া গান্ধি৷ তিনি অভিযোগ করেন, লাদাখে সংঘাত শুরু হওয়ার এতদিন পরেও বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা অন্ধকারে রয়েছে৷ তিনি আরও জানতে চান, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এই মুহূর্তে স্থিতাবস্থা বজায় আছে কি না? যদিও কংগ্রেস যে এই সঙ্কটের মুহূর্তে সরকারের পাশেই আছে, তাও জানান কংগ্রেস সভানেত্রী৷
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, এই পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক গোটা দেশের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে৷ তিনি আরও বলেন, দেশ যে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে একজোট হয়ে আছে, এই বৈঠক তার প্রমাণ৷ সরকারের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী৷
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারও মনে করিয়ে দেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধ থাকলে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি তার ফায়দা নেবে৷ একই ভাবে পরস্পরকে দোষারোপ না করার জন্য অনুরোধ করেন বিজেডি নেতা পিনাকি মিশ্র৷ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন, তাঁরা সরকারের পাশেই আছেন৷ এনসিপি নেতা এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শরদ পাওয়ার বলেনন, ভারতীয় সেনারা অস্ত্র নিয়ে সীমান্তে যাবে কি না, তা আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনেই স্থির করা হয়৷ ফলে, তিনিও পরোক্ষে সরকারের পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছেন৷