সীমান্তে চিন-ভারত উত্তেজনা ও তার জেরে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের সঙ্গে ক্ষোভে ফুঁসছে বর্ধমান। বর্ধমান শহরে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন এলাকায় চিনের প্রতি বিষোদগার চলছে। প্রতিবাদ বিক্ষোভের পাশাপাশি চলছে চিনা সামগ্রী ভাঙচুর, তাতে আগুন ধরানোর কাজ। বর্ধমানে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে চিনা পণ্য সামগ্রী ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতি। চিনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন তারাও।
advertisement
News18-এর পক্ষ থেকেও সম্প্রতি দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, নিউজ১৮-এর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভোট দেওয়া মানুষদের মধ্যে ৭০.১৩ শতাংশ মানুষ চিনা জিনিসের দাম যাই হোক না কেন, তা বর্জনের পক্ষে ৷ আরও ২৩.৪৯ শতাংশ মানুষ যতটা বেশি এবং তাড়াতাড়ি সম্ভব চিনা দ্রব্য বয়কটের পক্ষে ৷ মাত্র ৬.৩৮ শতাংশ মানুষই লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে যাই ঘটুক না কেন, চিনা জিনিস এখনই বর্জনের পক্ষে নন ৷
বর্ধমানের মায়াবাজার থেকে শুরু করে জেলখানা মোড়-সহ অনেক জায়গাতেই ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর বিশাল বাজার রয়েছে। সেই সব বাজারের অধিকাংশ পণ্য সামগ্রী আসে চীন থেকে। এছাড়াও বর্ধমানের দত্ত সেন্টার সহ বি সি রোডে প্রসাধন সামগ্রীর বিশাল বাজার রয়েছে। সেখানেও রঙচঙে মোড়কে বিক্রি হয় চীনা প্রসাধনী সামগ্রী। চীন ভারত সংঘাত আবহে সেইসব সামগ্রীর বিক্রি বাটা কমেছে অনেকটাই।
বিক্রেতারা বলছেন, এমনিতেই করোনার কারণে চীনের প্রতি বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে। তার ওপর সীমান্তে চীনের আগ্রাসন ও সেনা জওয়ান দের মৃত্যুর পর প্রতিবেশী এই দেশকে এখন শত্রুপক্ষ বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। তাই তারা চিনে প্রস্তুত সামগ্রী এখন এড়িয়ে যাচ্ছেন। বিক্রি কমে যাওয়ায় সেই সব সামগ্রী এখন না তোলার পক্ষেই ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এমনিতেই লকডাউনের কারণে ব্যবসার চরম ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর চীনে প্রস্তুত সামগ্রী থেকে চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এখন অনেকেই। তাই সেসব সামগ্রী এখন না তোলাই উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।
শরদিন্দু ঘোষ