লাদাখের গালওয়ানে চিনা হামলায় ভারতীয় সেনার মৃত্যু। এই ঘটনা অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৭৫ সালের কথা। ভারত-চিনের মধ্যে সেই শেষ সংঘর্ষ যাতে মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনার। গত মে মাসের শুরু থেকেই সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাতের আবহ। কিন্তু, চল্লিশ বছর আগে পরিস্থিতি ছিল একেবারে অন্যরকম।
সীমান্তে ভারত পরিকাঠামো তৈরি করেছে। তাতেই চিনের গোঁসা। মে মাসের শুরু থেকেই লাদাখে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উত্তেজনা। ভারত-চিন সংঘাতের আবহ। মাঝে কিছুটা বরফ গললেও সোমবার একেবারে সংঘর্ষ। রক্তাক্ত পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা। উত্তেজনা কমাতে দু’দেশের উচ্চপদস্থ সেনাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তখনই চিনের হামলা ৷
advertisement
গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রলিং পোস্টের কাছে সংঘর্ষ বাধে ৷ মঙ্গলবার, ভারতীয় সেনা বিবৃতি দিয়ে জানায়, উত্তেজনা কমাতে আলোচনা চলার সময়ই ভারত-চিন সংঘর্ষ। সোমবার, ১৫/১৬ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১৭ জন ভারতীয় সেনা আহত হন ৷ এরপর অত্যাধিক উচ্চতায় তাঁদের অবস্থার দ্রুত অবনতি হয় ৷ এবং শূন্য ডিগ্রির নীচের তাপমাত্রায় তাঁদের মৃত্যু হয় ৷ সবমিলিয়ে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৷ ভারতীয় সেনা দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷
পূর্ব লাদাখের এই সংঘর্ষে পারদ চড়ে দিল্লিতে। দফায় দফায় জরুরিভিত্তিতে বৈঠক। তিন সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গিয়ে রিপোর্ট দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন। লাদাখে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকে আইটিবিপিও। আইটিবিপির ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।