প্রতিরক্ষামন্ত্রক ( এমওডি) বলছে বাস্তব নিয়ন্ত্রণরেখার একাধিক এলাকায় জোর করে অবস্থান বদলের চিনা প্রয়াস সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। এটা লাল ফৌজের একতরফা এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে ভারত।
প্রবল ঠান্ডার কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভারতীয় সেনা। শীতের বিশেষ ধরণের জামাকাপড় থেকে নাইট ভিশন সানগ্লাস,জরুরি পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ওঠার গিয়ার এবং রেশন আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে গুছিয়ে রাখা আছে। ফলে সাপ্লাই লাইন নিয়ে চিন্তা নেই। ভারত নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে বিমান বাহিনী ও অল্প সময়ের মধ্যে বন্দুক, গোলাবারুদ, কামান, ট্যাঙ্ক সহ লড়াইয়ের যাবতীয় জিনিস পৌঁছে দিয়েছে অনেক উচ্চতায় অবস্থিত ফরওয়ার্ড পোস্টে। তাই চিন অনেক চেষ্টা করেও আক্রমণ করার সাহস বা জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না।
advertisement
রিপোর্ট বলছে প্যানগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে ভারতীয় সেনা যে জায়গা দখল করে রয়েছে তা লাল ফৌজের মাথা ব্যথার কারণ। চিন ঠিক এই জায়গায় নিজেদের দিকে হালকা ট্যাঙ্ক বাহিনী মোতায়েন করেছে। পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতের টি নাইন্টি ট্যাঙ্ক। এছাড়াও নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ধরণের মধ্যযুগীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল চিনের তরফ থেকে তা কোনও পেশাদার বাহিনী করে না। সব মিলিয়ে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে লাদাখে এখনও গনগনে উত্তাপের আঁচ। তবে অরুণাচল, সিকিম সহ বাকি সীমান্তেও নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত।