লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি কী, তা স্পষ্ট ভাবে সরকারকে জানাতে হবে বলে দাবি করেছিল বিরোধী দলগুলি৷ প্রশ্নোত্তর পর্ব না থাকায় এ বিষয়ে আলোচনাও চেয়েছিল বিরোধীরা৷ যদিও সরকারি সূত্রের খবর, লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতির সঙ্গে যেহেতু জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে, তাই এ বিষয়ে এখনই সব তথ্য প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়৷ সেই কারণেই বিরোধীদের দাবিকে সম্মান দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি পেশ করবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী৷
advertisement
লাদাখ ইস্যুতে হইহট্টগোলের জেরে যাতে সংসদের কাজকর্ম ব্যাহত না হয়, তাও নিশ্চিত করতে চায় সরকার৷ পাশাপাশি, এই ইস্যুতে বিরোধী এবং সরকার যে ঐক্যবদ্ধ, সেই ছবিও তুলে ধরতে চায় সরকার৷ সেই কারণেই এ দিন অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বার্তায় সব রাজনৈতিক দলের কাছে সেনাবাহিনীর পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন৷
গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারত-চিন সীমান্তে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়ে আছে৷ দু' তরফে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি৷ কংগ্রেসের তরফে তো অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করা হচ্ছে, লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে বসে আছে চিনা সেনা৷ এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিবৃতি দিলে তাতে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অবস্থান কী হয়, সেটাই এখন দেখার৷