তিন মাসের বেশি সময় ধরে অস্থির ভারত-চিন সীমান্ত সীমান্ত। গত কয়েক দিন ধরে লাদাখ সীমান্তে স্নায়ুর চাপ ফের বেড়েছে। আপাত ভাবে স্থিতাবস্থা থাকলেও চলছে পারস্পরিক চাপ বাড়ানোর খেলা। এই পরিস্থিতিতেই এলাকা পরিদর্শনের জন্যই দু'দিন ধরে লাদাখে রয়েছেন এমএম নরবনে। সেনার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন তিনি। এদিন সীমান্তের কাছাকাছি অতন্দ্র প্রহরায় রত সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের উজ্জীবিত করতে গত কয়েক দিনের ঘটনাপরম্পরায় ভারতীয় সেনার ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, এখন সময় নিজকে উজাড় করে দিয়ে ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কাজ করা ( জোশ কে সাথ আপকো ধীরজ অওর সংযম কে সাথ কাম লেনা হ্যায়)। উত্তেজনার পারদটা বুঝিয়ে দিতে, নরবনে বলেন, আমাদের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
advertisement
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সেনাপ্রধান বলেন, "LAC-তে পরিস্থিতি সামান্য উদ্বেগজনক ছিল। এই কারণেই কারণেই আমরা সুরক্ষার কথা মাথা রেখে আগেভাগে ব্যবস্থা নিয়েছি। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে সীমান্তে।"
প্রসঙ্গত এদিন লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের জন্য চিনের দিকে আঙুল তুলেছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়তও। ভারত আমেরিকা শীর্ষ বৈঠক থেকে তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালেই সীমান্ত সমঝোতা হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও বারবার সীমান্তে চিনা আগ্রাসন দেখা গিয়েছে। যে কোনও ধরনের আক্রমণ রুখতে ভারত সক্ষম।
সেনা সূত্রে খবর এই মুহূর্তে লাদাখের প্যাংগয় লাগোয়া স্পাংগুর হ্রদ, কালাটপ, মুকপরী বা রেজাংলার মতো স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টগুলিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় রয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা ব্যাকফুটে চিনা লিবারেশন আর্মি।