প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাদের পাশে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন চিনকে। পূর্ব লাদাখে এখনও দুই দেশের সেনা একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। চিনের যে কোনওরকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তিন বাহিনী। এমনকি, শীতকাল জুড়ে এই স্ট্যান্ড অফের প্রস্তুতিও আগে থেকেই নিয়েছিল সাউথ ব্লক। কথায় বলে বন্ধু পাল্টানো যায়, কিন্তু পড়শি নয়। তাই দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের এই খারাপ সম্পর্ক কাম্য নয়। কিন্তু তার মধ্যেই সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে চেষ্টা চলছিল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।
advertisement
পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে মনে হয়েছিল যখন দুই দেশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল ৭০ বছরের পারস্পরিক সম্পর্ক উপলক্ষে স্মারক হিসেবে যৌথভাবে ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। গত বছর জিনপিংয়ের ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সম্পূর্ণ ইউটার্ন করে চিনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ডাকটিকিট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত বন্ধ করছে তাঁরা। অনেকেই প্রথমে মনে করেছিল করোনা পরিস্থিতির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা সীমান্তে এখনও জটিল পরিস্থিতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। যদিও তাঁদের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, "ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই আমরা। ভারতকে শত্রু হিসেবে দেখে না চিন। সেই চেষ্টা চলছে। আশা করি সামরিক, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে।" তবে ডাকটিকিট নিয়ে প্রোগ্রাম বাতিল জেনেও এখনও কোনও সরকারি বার্তা দেয়নি নয়াদিল্লি।
Written By Rohan Roychowdhury