বিদেশমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত সমস্যার আলোচনা এবং তার ফলাফল নিয়ে প্রকাশ্যে খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। আগে থেকে অবশ্যই এই আলোচনার পরিণতি নিয়ে কিছু অনুমান করতে চাই না। "তিব্বতের পরিস্থিতি এবং বাস্তবে নিয়ন্ত্রণ রেখার উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন," আমি মনে করি না যে আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত, যার স্পষ্টতই লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। ''
advertisement
বিদেশমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ১৯৯৩ সাল থেকে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের (India & China Relations) উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, "গত ৩০ বছর ধরে আমরা সীমান্তে শান্তি-ভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছি।" সীমান্তে শান্তি রক্ষার্থে যে সব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা যদি না মেনে চলা হয় এবং সীমান্তে শান্তির পরিবেশ নিশ্চিত না করে দুই দেশ, তাহলে সেটাই হবে সমস্যার প্রথম কারণ৷ মত জয়শঙ্করের৷
এর আগে বৃহস্পতিবার, ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং আগামিদিনেও থাকবে । এই দৃঢ় বার্তার মাধ্যমে চিনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ভারতের এই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা ও অন্য কোনও দেশই যেন মন্তব্য না করে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) ভারতের দিকে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে চিনের আপত্তির পাল্টা দিয়েছে ভারত৷ বলা হয়েছে যে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার মত চিনের কোনও অধিকার নেই।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান যে, এই বিষয়ে চিন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এবং তাঁরা লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অঙ্গ হিসেবে মনে করে না।
শ্রীবাস্তব একটি সংবাদিক সম্মলনে বলেন, “এ নিয়ে আমাদের অবস্থান বরাবরই পরিষ্কার ও অভিন্ন। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং থাকবে। চিনের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই। আমরা আশা করি যে দেশের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করবে না চিন। "
লক্ষণীয় বিষয়, প্রায় পাঁচ মাস ধরে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে সামরিক স্থগিতাদেশ রয়েছে।