আসলে চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই ভারত নিজের প্রতিরক্ষা বিভাগে প্রচুর নতুন সমরাস্ত্র কিনছে পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করতে আরও অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইসও কিনছে৷ সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা -র মতে ২২,০০০ কোটি টাকার ডিল হতে চলেছে ৯ রিপার ড্রোনের৷ প্রাথমিকভাবে ৬ টি ড্রোন প্রথমে আসবে৷ পরে আসবে বাকি ২৪টি ড্রোন৷ যা আগামী ৩ বছর ধরে ডেলিভারি হবে৷
advertisement
এই ড্রোনের বৈশিষ্ট্য
>> ড্রোন বানানো কোম্পানিজেনারেল অ্যাটোমিক্সে- র দাবি এই ড্রোন একবারে ২৭ ঘণ্টা অবধি উড়তে পারে৷
>>MQ-9 রিপার ড্রোন সবচেয়ে বেষি ৪৪৪.৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উড়তে পারে৷ এটা ৫০ হাজার ফিট উঅচু অবধি উড়তে পারে৷
>>MQ-9 একসঙ্গে ১২টি মুভিং টার্গেটকে ট্র্যাক করতে পারে৷এটা একটা মিসাইল ছাড়ার ০.৩২ সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় মিসাইল ছাড়তে পারে৷
>>এই ড্রোন মোট ১,৭৪৬ কিলো ওজন বহন করতে পারে৷
>>এই ড্রোনে ফল্ট টলারেট ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম আর ট্রিপল রিডন্টেন্ট অ্যাবিয়োনিক্স সিস্টেমে কাজ করে৷
>>এটা মডিউলার ড্রোন৷ এতে সহজেই পেলোডস কনফিগার করা যায়৷ এটা রিয়েল টাইমে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে ডেটা পাঠাতে পারে৷
>>ইলেক্ট্রো অপ্টিক্যাল ইনফ্রারেড (EO/IR), সার্ভিউল্যান্স র্যাডার, মাল্টিমোড মৈরিটাম সার্ভিলান্স র্যাডার, ইলেকট্রনিক্স সাপোর্ট মেজর্স মতো বিষয়ে সক্ষম৷ এটা লেজর বোম পরিবহন করতে সক্ষম৷
ইজরায়েলের হেরন ড্রোব ও স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলকে আপগ্রেড করার কাজও চলছে৷ আপতকালীন পরিস্থিতির জন্য বরাদ্দ থেকে এই এত কিছু যুদ্ধাস্ত্র কেনা হচ্ছে৷ ভারতীয় সেনারা এই সমস্ত জিনিস লাদাখ সেক্টরে ব্যবহার করবে৷ হেরন ড্রোন লাগাতার ২ দিনের বেশি উড়তে সক্ষম৷ এই ড্রোন ১০ হাজার মিটার উঁচুতে উড়তে সক্ষম৷