আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে সরকারি পাঠাগার
কয়েক বছর আগেও দুর্গাপুজোর কয়েক মাস আগে থেকে তাঁত বোনায় চাপ পড়ত। নাওয়া খাওয়া ভুলে এই সময় কাজ করতে হতো তাঁতিদের। কিন্তু বর্তমানে তাঁত শিল্পীদের হাতে সেভাবে কাজ নেই। বাংলার হস্তচালিত তাঁত শিল্পের জায়গা দ্রুত নিয়ে নিয়েছে গুজরাটের পাওয়ারলুমে বোনা শাড়ি।
advertisement
আক্ষেপের সুরে হাওড়ার গজা গ্রামের তাঁত শিল্পীরা জানালেন, এক সময় তাঁতের চাহিদা মেটাতে রাতভোর কাজ চলত। গ্রামে প্রবেশ করলেই শোনা যেত খট খট শব্দ। নদিয়ার শান্তিপুর, ফুলিয়ার মত ছন্দে ছিল এই গ্রাম। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বর্তমানে তাঁতের কাপড়ের চাহিদা কমে গিয়েছে। বাংলার তাঁতের গ্রামগুলিতে তাঁতের সেই আওয়াজ হয়েছে ফিকে। তাঁত শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ার অন্যতম কারণ, সুতোর দাম বৃদ্ধি। তাঁতের তৈরি কাপড়ে মজুরি কম হলেও সুতোর দাম বৃদ্ধির ফলে তৈরি কাপড়ে দাম বৃদ্ধি পায়। সেই তুলনায় অনেক সস্তা দামের বিভিন্ন কাপড় বাজার দখল করেছে। মানুষ তাঁতের পণ্য ছেড়ে সেদিকে বেশি ঝুঁকছে। পাশাপাশি তাঁত শিল্পীদের মজুরি কম হওয়ায় নতুন করে এই কাজে আসছে না কোনও শ্রমিক, এমনটাই জানালেন উদয়নারানপুরের গজা গ্রামের তাঁত শিল্পী অর্জুন কাঁড়ার। গ্রামের ৫০০ তাঁত শিল্পীর মধ্যে মাত্র দু-চারজন এই কাজ করেন। বাকিরা পেটের টানে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন।
রাকেশ মাইতি