এই অভিযানের মাধ্যমে, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দিয়েছেন অভিযাত্রীদের। পাশাপাশি, তাঁদের আবেদন, সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলিতে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হোক। অভিযানকালে স্থানীয় বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নানা শিক্ষা সামগ্রী এবং সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন এই অভিযানের সদস্যেরা। এই অভিযান দূষণমুক্ত সমুদ্র সৈকত বা শিক্ষার আলো পৌঁছনোর পাশাপাশি রক্তদানের গুরুত্ব বোঝানোর জন্যেও একটি বিশেষ অভিযান বটে।
advertisement
আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু! মেঘের সমুদ্রে ডুবে যাওয়া রেলব্রিজ! ভারতের কোথায়?
এ প্রসঙ্গে অভিযাত্রী উজ্জ্বল দাস বলেন, "ভারতের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত 'বিচ হাইকিং' অর্থাৎ ভারতীয় কথায় 'কোস্টাল ট্রেক'-এর নজির কম নেই। তবে গত কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য ছিল বিশ্বের এই দীর্ঘতম সি বিচের দিকে। মাঝে করোনা অতিমারি কিছুটা আশাহত করলেও এবার হাওড়া স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা বদ্ধপরিকর ছিল। এবছর দশম বর্ষে পড়েছে এই অ্যাসোসিয়েশন।"
আরও পড়ুন: একসময়ে সোমনাথ-প্রণব পেয়েছিলেন এই সম্মান! এবার কি সেই তালিকায় সুকান্ত?
অন্যদিকে, অভিযাত্রী দলের অপর সদস্য কাজল মজুমদার জানান, বাংলাদেশ সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী প্রাকৃতিক সবচেয়ে দীর্ঘ সি বিচে এই ধরনের অভিযান এই প্রথম। এই অভিযানের মূল যাত্রা চার দিনের হলেও সম্পূর্ণ অভিযানটি ছিল দশ দিনের। ১২ - ২২ ফেব্রুয়ারি। হাওড়া থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিযানকারীরা। হাওড়া থেকে ঢাকা তারপর টেকনাফ হয়ে নাজিরারটেক (কক্সবাজার)। যদিও এই যাত্রা শুরুতে কিছুটা সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিযাত্রীদের। তবে তাঁদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং জেদ সব বেরাজালকে ছিন্ন করে লক্ষ্য পূরণে পৌঁছে দেয়।
রাকেশ মাইতি





