এই গ্রাম থেকে হাওড়া কলকাতার নামীদামি দোকানে পৌঁছে যায় বিখ্যাত এই মিষ্টি। এমন সেই মিষ্টি, যে চোখে দেখা তো দূরের কথা, নাম শুনলেই জিভে চলে আসে জল। গ্রামের পুরুষ মহিলা সকলেই ব্যস্ত থাকন বিখ্যাত সেই মিষ্টি তৈরিতে। এই মিষ্টি যেমন মন মাতানো স্বাদ, তেমনই গন্ধ। গাংপুর নাম হারিয়ে তাই এই গ্রাম এখন জনমানসে পরিচিতি পেয়েছে ‘রাবড়ি গ্রাম’ হিসাবে। এটাই গাংপুর গ্রামের মানুষের কাছে সবচেয়ে গর্বের।
advertisement
মিষ্টির জগতে প্রথম সারির মিষ্টি রাবড়ি। হাওড়ার বড়গাছিয়া থেকে কয়েক মিনিটের পথ এই রাবড়ি গ্রাম। বড়গাছিয়া, সলপ, রামরাজাতলা হাওড়া জেলার গ্রাম থেকে শহরে পৌঁছে যাচ্ছে রাবড়ি। প্রতিদিন কিলো কিলো রাবড়ি বিক্রি হচ্ছে দারুণ চাহিদার সঙ্গে। একই সঙ্গে বিবাহ অন্নপ্রাশন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতেও এই রাবড়ির ব্যাপক চাহিদা।
গ্রামের প্রায় ৪০-৫০টি পরিবার এই রাবড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পুরুষ মহিলা উভয়ে এই কাজে হাত লাগান। এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশো কেজি রাবড়ি কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়। মাত্র দুরকম উপকরণেই তৈরি হয় সুস্বাদু রাবড়ি৷
প্রথমে চিটকে কড়াইতে ফোটানো হয় দুধ। এরপর মৃদু আঁচে কড়াতে ফুটন্ত দুধে তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া দিলেই দুধের উপরিভাগে পড়ে সরের আস্তরণ। এবার পাতলা সর সরু কাঠির সাহায্যে তুলে কড়াই এর গায়ে লেপে দেওয়া। এভাবে প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে সর তুলতে। শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ দুধ রেখে চিনি মিশিয়ে দেওয়া হয়। তারপর প্রায় দেড় দু’ঘণ্টা কড়াইতে রেখে ছুরি দিয়ে কেটে সর অবশিষ্ট দুধে মিশিয়ে নিলেই তৈরি রাবড়ি। ৬-৭ কেজি দুধ থেকে ২ কেজি রাবড়ি তৈরি হয়। এভাবেই তৈরি হয় জনপ্রিয় মিষ্টির রাবড়ি। রাবড়ি গ্রামের গন্ধ অনুভব করতে এবং টাটকা রাবড়ির স্বাদ পেতেই মানুষ ছুটে আসছেন রাবড়ি গ্রামে।
রাকেশ মাইতি





