Howrah News: অন্ধকার গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালতে একের পর এক গড়েছেন স্কুল-কলেজে, শিক্ষাক্ষেত্রে গঙ্গাধরপুরের রূপকার সন্তোষ দাস

Last Updated:

Howrah News: অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামকে শিক্ষার আলোর পথ দেখাতে গ্রামে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন একাই! প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা লাভে প্রতিষ্ঠান গড়ে গ্রামকে আলোকিত করেছেন তিনি।

+
সন্তোষ

সন্তোষ দাস

গঙ্গাধরপুর, রাকেশ মাইতি: অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামকে শিক্ষার আলোর পথ দেখাতে গ্রামে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন একাই! প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা লাভে প্রতিষ্ঠান গড়ে গ্রামকে আলোকিত করেছেন তিনি। সেই সময়ে শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া একটি গ্রাম গঙ্গাধরপুর। সেই গ্রামেই এখন জেলা ও জেলার বাইরে থেকে এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে শিক্ষা লাভের জন্য। সন্তোষ দাসের হাত ধরেই গঙ্গাধরপুর গ্রাম এখন হয়ে উঠেছে শিক্ষা লাভের পিঠস্থান।
হাওড়া জেলার প্রান্তিক গ্রাম পাঁচলা ব্লকের অন্তর্গত গঙ্গাধরপুর। মাত্র কয়েক দশক আগেও জেলার অধিকাংশ মানুষের কাছে একটি অজানা গ্রাম। সেভাবে পরিচিত লাভের সেরকম কোন দিকই ছিল না এই গ্রামে। খুব সাধারন একটা গ্রাম, যে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ ও শ্রমিক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। সে সময় গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষালাভ। গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে সুযোগ ছিলনা অধিকাংশ পরিবারে। তাই এই গ্রাম শিক্ষার দিক থেকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের থেকে অনেকটা পিছিয়ে। তবে গ্রামের গুটি কয়েক মানুষ শিক্ষিত হয়েছেন। তারাও বিভিন্নভাবে গ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গ্রামের মানুষকে শিক্ষিত করতে সকলেই কম বেশি উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে তাদের থেকে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করেন সন্তোষ কুমার দাস।
advertisement
তিনি মনে করেন দেশ ও দশ তথা গ্রামের উন্নতির মূল চাবিকাঠি শিক্ষা। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামের মানুষকে স্বল্প খরচের শিক্ষা পেতে, তিনি চিন্তা করেন গ্রামেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার। বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সমস্ত বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে গ্রামের মানুষ ও সরকারি সহযোগিতায় সেই চেষ্টা সফলতা পায়। তারপর কয়েক বছর অন্তর অন্তর একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
advertisement
advertisement
১৯৬৪ সালে গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির স্কুল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার সূচনা করেন শিক্ষাবিদ সন্তোষ কুমার দাস। তারপর স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিকে পরিণত করা, এরপর আরও একটি মহিলা অর্থাৎ গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠা। দুটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পর তিনি প্রাথমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি উপলব্ধি করেন কলেজে পড়তে গ্রামের ছেলেমেয়েদের পার্শ্ববর্তী ব্লক অথবা হাওড়া শহরে যেতে হয়। তাই তিনি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগী হন। অল্প দিনে সেই উদ্যোগে সফল হন। গঙ্গাধরপুর মহাবিদ্যামন্দির, গঙ্গাধরপুর বালিকা বিদ্যামন্দির, গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরপর গঙ্গাধরপুর মহাবিদ্যা মন্দির অর্থাৎ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই থেমে যাননি। উচ্চশিক্ষার জন্য ছেলেমেয়েদের কলকাতা অথবা রাজ্যের বাইরে যেতে হয় তাই তিনি বি এড, ডি এড, ও এম এড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েন। এবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে।
advertisement
যে গ্রামের মানুষকে সামান্য স্কুল পর্যায়ের লেখাপড়া করতে অন্য গ্রামে যেতে হত। এখন সেই গামেতেই উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা হাজির হচ্ছে। একসময় যে গ্রামে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ ছেলে মেয়ে হাতে গনা যেত, খুঁজলে বহু কষ্টে স্কুল পাশ করার ছেলে মেয়ে মিলত। এখন সেই গ্রামেই প্রতি ঘরে ঘরে উচ্চশিক্ষিত ছেলে মেয়ে। শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ কুমার দাসের হাত ধরেই শিক্ষা লাভের পিঠস্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে হাওড়া জেলার গঙ্গাধরপুর গ্রাম। পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও জেলার মানুষের কাছে শিক্ষার দিক থেকে সুপরিচিত এই গ্রাম। এখানে শিক্ষার্থীদের সুবিধার পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এই মানুষটির হাত ধরেই।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Howrah News: অন্ধকার গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালতে একের পর এক গড়েছেন স্কুল-কলেজে, শিক্ষাক্ষেত্রে গঙ্গাধরপুরের রূপকার সন্তোষ দাস
Next Article
advertisement
‘প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করতে চাই’! ন্যায়বিচারের দাবিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ উন্নাও কাণ্ডের নির্যাতিতার
‘প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করতে চাই’! ন্যায়বিচারের দাবিতে উন্নাও নির্যাতিতা
  • উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে কুলদীপ সিং সেনগরের জামিনে দিল্লিতে উত্তেজনা, নির্যাতিতা ও তাঁর মা প্রতিবাদে শামিল হন.

  • নির্যাতিতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চান.

  • বিক্ষোভে পুলিশ ও সিআরপিএফ নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে বাধা দেয়, বৃদ্ধা মাকে ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ ওঠে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement