শুধু যে রাস্তার ধারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছোট ছোট শিশুদের রান্না হচ্ছে তাই নয়, ঠিক যে জায়গায় খাবার তৈরি হচ্ছে তা চারিপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল কুকুর-বিড়াল সহ বিভিন্ন গৃহপালিত পশুকে! হাওড়ার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড ডে মিল তৈরির এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে চিকিৎসক সকলের।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের আগে ফের বন্দুক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার মুর্শিদাবাদে
পাঁচলার গঙ্গাধরপুর পানিহিজলি সর্দার পাড়ায় অবস্থিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি ক্লাব ঘরে প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলছে। গত আট বছর এখানকার শিশুদের রান্না হচ্ছে রাস্তার ধারের বাঁশবনের নিচে। গোটা ঘটনায় আমি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা শিশুদের অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের শিক্ষিকা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।
গ্রামবাসীরা অবশ্য এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, মাঝেমধ্যেই ভালো করে রান্না হয় না। কোনরকমে আধ সিদ্ধ খাবার খেতে দেওয়া হয় শিশুদের। এমনকি আলু, সবজি ছাড়াই খাবার দেওয়ার অভিযোগও উঠছে। সিদ্ধ না হওয়া কাঁচা ডিম শিশুদের পাতে দেওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। যদিও এলাকার মানুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা শামিম বানু মিদ্দে বলেন, রান্নার ঘর না থাকার ফলে সমস্যা হচ্ছে। পঠন-পাঠন স্থানীয় ক্লাব ঘরে চললেও, রান্না ঘরের সমস্যা রয়েছে প্রায় আট বছর। স্থানীয়দের সহযোগিতা না পেয়ে এক প্রকার নিরুপায় হয়ে খোলা আকাশের নিচে রাস্তার উপর রান্নার কাজ চলছে।
রাকেশ মাইতি