রাজ্য রাজনীতির জুজুধান তিন রাজনৈতিক দল তৃণমূল, বিজেপি ও জাতীয় কংগ্রেস হলেও সাঁকরাইল ব্লকের এই গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন প্রার্থী শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস একই বাড়িতে। নিজেদের রাজনৈতিক দলের মত যদিও সেই রাজনৈতিক বিদ্বেষ, হিংসা নেই। তবে বোস পরিবারের অন্যান্য সদস্য চিন্তায় কাকে ছেড়ে কাকে ভোট। এই শান্তিপূর্ণ লড়াইয়ে শেষ হাসিটা কে হাসবে। এদিকে তিন প্রার্থীরই এক বক্তব্য, এলাকার সাধারণ মানুষ যাকে নির্বাচিত করবে সেই জয়ী হবে।
advertisement
যদিও জয়ের বিষয়ে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী তিন জন গৃহবধূ। পরিবারের এই তিন সদস্য তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ঘটনা যথেষ্টই নজর কেড়েছে এলাকার ভোটেরদের মধ্যে। এমন অভিজ্ঞতা একবারেই নতুন সবার কাছে। পরিবারের তিন গৃহবধূ ১১৩ নম্বর বুথে গ্রামসভাতে জয়ী হতে জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছেন। যদিও জানা গেছে তিনজনের কেউই সক্রিয় রাজনীতিতে সঙ্গে সেভাবে কেউই যুক্ত ছিলেন না।
গত নির্বাচনে সরকার বাড়ির বড় বৌ নির্দল হিসাবে প্রার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও নিত্যদিনের রাজনীতি সেভাবে কখনও করেননি। বলা যেতে পারে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেই তাঁদের একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। ভোট যেহেতু সামনে তাই প্রাথমিক ভোটপ্রচার হিসেবে তিনপক্ষই দেওয়াল লিখন প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। এবার তিন প্রার্থী এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন। নিজেদের বাড়ির গৃহস্থালীর কাজ সামাল দিয়ে প্রচারে থাকছেন তাঁরা। তিনজনের একই বক্তব্য রাজনীতির ময়দানে যে জিতুক না কেন, কোনওভাবেই হিংসার রেশ তাঁদের পরিবার বা গ্রামের মানুষের মধ্যে পড়বে না বলেই আশাবাদী তিন দলেরই প্রার্থী।
আরও পড়ুন, মেসেজ তো আমরা সকলেই করি! কিন্তু বিশ্বের প্রথম SMS-টি কী? সময় থাকতে জেনে নিন এখনই
আরও পড়ুন, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি , উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা… জানুন সর্বশেষ আপডেট
এখন ভোটের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এলাকার মানুষ। সরকার বাড়ির তিন জায়ের মধ্যে শেষ হাসি কে হাসবে, তবে যত দিন এগিয়ে আসছে বোস পরিবার এবং এলাকায় বাড়ছে উত্তেজনা।
রাকেশ মাইতি