তিনি জানান, শৈশব থেকেই মুদ্রা সংগ্রহের নেশা মাথায় চেপে বসেছিল। সে সময় এক আনা, দু’ আনা-মা বাবার কাছ থেকে যেটা পেতাম সেটাই জমিয়ে রাখতাম।’’ সেই থেকেই সূত্রপাত কয়েন জমান। তিনি জানান সব মিলিয়ে দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার কয়েন সংগ্রহে রয়েছে। এখনও অনেক বাকি। তবে বর্তমানে দারুণ অর্থসংকট। ফলে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কাজ।
advertisement
লেখালেখির নেশা রয়েছে ইন্দ্রনাথবাবুর। আবার পড়ার নেশা অগাধ, বিশ্বকর্মাও বটে। একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসাবে বেশ সুনাম তাঁর। বাড়ির অদূরেই রয়েছে তাঁর দোকান। ইলেকট্রিকের কাজে দক্ষতা থাকলেও ইন্দ্রনাথ বাবুর অধিকাংশ সময় কাটে সংগ্রহের কাজে। কয়েন ছাড়াও বিভিন্ন রকম জিনিস তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। ফলে সকাল সন্ধ্যা মিলে দোকানে সময় দেওয়া হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টা।
সারা জীবনে যা উপার্জন করেছেন, তার অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে সংগ্রহের কাজে। আর প্রদর্শনে মেলে তৃপ্তি। আবার এই কাজের সুবাদে বহু বার প্রশংসিত হয়েছেন গুণী জনদের কাছে। তাতে আরও ভাল লাগা বেড়েছে এই কাজে। বর্তমান সময়টা চলেছে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে। সংগ্রহে থাকা অমূল্য জিনিসপত্রের পরিচর্চা করতেই হিম হিমশিম খাচ্ছেন।