সনাতন হিন্দু ধর্মে শিব পুজো সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক ফলপ্রদ বলে বর্ণনা করা হয়। শ্রাবণ বা চৈত্র মাসজুড়ে শিব শম্ভুর আরাধনায় মাতে অগণিত ভক্ত, শিব শম্ভুকে সন্তুষ্ট করতে পারলে সুফল নিশ্চিত বিশ্বাস ভক্তদের, শিবের ব্রত কঠোর হলেও পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সেই ব্রত পালন করেন নিষ্ঠার সঙ্গে। তাই দিকে দিকে রয়েছে শিব বা ভৈরবের মন্দির। রীতি অনুসারে দেখা যায় অধিকাংশ কালী মন্দিরের পার্শ্ববর্তীতে ভৈরবের মন্দির।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৩৫ টুকরো তরুণী শরীর ১৮ দিনে ছড়িয়ে পড়ল গোটা দিল্লি! প্রেমিক আফতাবের নৃশংসতায় মাথা হেঁট
হাওড়ার আমতার বিখ্যাত সতীপীঠ মা মেলাই চন্ডী মন্দির, চন্ডী মায়ের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে আমতার কুমুদেশ্বর শিব মন্দিরের। স্থানীয় মানুষের কথায় জানা যায়, গ্রামে এই শিব মূর্তির প্রতিষ্ঠা দিনক্ষণ সঠিক জানা যায়নি। তবে কথিত রয়েছে কয়েক শত বছর আগে পাতাল ফুঁড়ে উঠেছিল শিবলিঙ্গটি। সেই সময় থেকেই গ্রামের মানুষ ও গ্রামের পার্শ্ববর্তী থেকে ভক্তরা আসেন বাবার কাছে।
আরও পড়ুনঃ মিলনের সময় মেয়েদের কানে কানে 'এই' কথাগুলো বলুন, উত্তেজনায় পাগল হবে, উজাড় করবে নিজেকে
মন্দিরের সেবাইত মনোতোষ বিশ্বাস জানান, রাজা শশাঙ্কের সময়কাল থেকে কুমুদেশ্বরের পুজো হয়ে আসছে। সেই সময় পাতাল ফুঁড়ে উঠেছিল এই শিলা মুর্তি এমনটাই কথিত রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে সকাল সন্ধ্যা দু'বার পুজো হয় এবং সন্ধ্যায় আরতি। এই বাবা এতটাই জাগ্রত যে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা অসেন, মানত করেন। ভক্তি ভরে ডাকলে ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলেও জানান তিনি। গ্রামবাসী নিমাইবাবু জানান, প্রতি বছরর ফাল্গুন চৈত্র মাসে জাঁকজমকপূর্ণ বাবার আরধনা হয়।
রাকেশ মাইতি