তাই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন বড় করে হয় গ্রামে। গ্রামে প্রায় প্রতিটি ক্লাবে পুজোর আয়োজন হয়। দুর্গা পুজোর থেকেও লক্ষ্মীপুজোয় বেশি রমরমা গ্রামে। লক্ষীপুজোয় বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসে প্রতি বছর। গত কয়েক বছর ধরে পাড়ার রাস্তায় তিন মাথার মোড়ে পুজোর আয়জন ওদের। পাড়ার মাঝের সদরের সামনেই সারা বছর ওদের জমায়েত স্থান।
আরও পড়ুন: মাত্র দুই সেন্টিমিটারের কালী মূর্তি বানিয়ে চমক শিল্পীর! রয়েছেন মা সারদা ও রামকৃষ্ণ
advertisement
গত দু – তিন বছর আগে রনিত নিজে হাতে মণ্ডপ গড়ে ছোট্ট প্রতিমা নিয়ে এসে পুজো শুরু করে। গত বছর থেকেই রণিতের সঙ্গ দিয়েছে শানু অনিক রনি রাহুল শুভঙ্কর সহ অনেকই। ওরা এবার ১০-১২ জন। স্কুল ছুটি তবে টিউশন সামলে সবাই জমায়েত হচ্ছে সদরে। পাড়ার কারও থেকে বাঁশ কারও থেকে কাপড় নিয়ে ওরা ছোট্ট মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছে কেদারনাথের আদলে।রাত পোহালেই পুজো চূড়ান্ত পর্যায়ে মণ্ডপ সজ্জার কাজ চলছে।
সকলেই ভাগাভাগি করে নিয়েছে কাজের দায়িত্ব। ওদের ছোট্ট সদস্যও তার দায়িত্ব সামাল দিচ্ছে। ছোটরা সহযোগিতা করছে বড়দের। এই ছোট্ট মণ্ডপেই ওদের হাতের কাজ যত্ন, অনেক কদর দিয়েই খোলা আকাশের নিচে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ওদের সাধের মণ্ডপ কেদারনাথ। শুরুতে সেভাবে নজর পড়েনি কারও। জোড়া তালি দিয়ে বাঁশের গায়ে কাপড় জড়িয়ে দিতেই নজর পড়ছে বড়দের।
রনিত শুভঙ্কর জানায়, দুর্গাপুজোয় কেদারনাথের আদলে মণ্ডপ দেখেছিল। তা দেখেই তাদের এই মণ্ডপ তৈরি ইচ্ছা জাগে। কারও থেকে বাঁশ কারও থেকে কাপড় চেয়ে কেদারনাথ মন্দির তৈরি। এটাই সেই ছেলেবেলা যেখানে নতুন কিছু সৃষ্টি খেলার ছলে।
এই ছেলেবেলা সচরাচার আর দেখা মেলে না গ্রামে। বর্তমান সময়ে দারুণভাবে মোবাইল ফোনের দাপট বেড়েছে। শৈশব গৃহবন্দী হয়ে পড়ছে। খেলার মাঠ হয়ে পড়ছে শুন্য। তবে এর মাঝেই গঙ্গাধরপুর গ্রামের এই কচিকাঁচা মনে করিয়ে দেয় পুরানো স্মৃতি।
রাকেশ মাইতি