কংক্রিট এবং কাঁচা ছিটেবেড়ার ঘড় রয়েছে এলাকায়। অল্প বৃষ্টিতেই ওই এলাকার অধিকাংশ বাড়ির উঠান ঘরের মেঝে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। তাতেই ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষের কপালে চিন্তার ভাজ। ঘরের মেঝে জলমগ্ন হবার ফলে রান্না বান্না থাকা খাওয়া ঘুমানো তক্তোবোস বা কাঠের মাচা ভরসা পরিবারের। জলমগ্ন হতে, পোকামাকড়ের পাশাপাশি বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে, তার যে আতঙ্কে দিন গুনছে মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পথ কুকুরদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নিলেন পশুপ্রেমীরা
এর পাশাপাশি জেলা জুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, তাতেও আতঙ্কের পারদ চলছে এলাকাবাসীর মনে, স্থানীয় মানুষের অভিযোগ সারা বছর যেকোনো সময়ে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে, এই সমস্যা গত কয়েক বছর ধরে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও এ বিষয়ে সুরাহা মেলেনি। স্থানীয় এক গৃহবধূর, বিস্ফোরক অভিযোগ, যেখানে সারা বছরজুড়ে সরকারিভাবে মশাবাহিত রোগ ও বিভিন্ন সচেতন মূলক পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার চলে। তাদের এলাকাতে সেই প্রচার বা মশা দমনের কোনরকম পদক্ষেপ নেওয়াই হয় না।
আরও পড়ুনঃ এবার হাওড়া স্টেশনে মিলছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাতে তৈরি সংগঠনের হস্তশিল্প
এলাকায় দীর্ঘ অপেক্ষার পর তৈরি হয়েছে কংক্রিটের রাস্তা, তবে এই জল যন্ত্রণা থেকে কিভাবে মিলবে মুক্তি সেই দিকেই তাকিয়ে ওই মানুষ। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জানান, এলাকার জল নিকাশি মুখ বন্ধ, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার নিকাশি বন্ধ করে বসবাস করছে মানুষ। এ বিষয়ে এলাকার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখতে, জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তবে বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখবেন এবং দ্রুত এলাকার মানুষকে কিভাবে দুর্ভোগ মুক্ত করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন বলেই জানিয়েছেন চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল হক মোল্লা।
Rakesh Maity