আর কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যজুড়ে জনসংযোগের লক্ষ্যে এবং আমজনতার অভাব অভিযোগ শুনতে দলের নেতাকর্মীদের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে। 'দিদির সুরক্ষা কবজ' কর্মসূচি নিয়ে তারা সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে যাচ্ছেন। ঠিক সেই সময়ই জানা গেল, প্রায় ১২ বছর ধরে একরকম শয্যাশায়ী বৃদ্ধা বিভা মাল। তাঁর হাত দুটো কাজ করে না, পায়েও সেরকম জোর নেই। ফলে হাঁটতেও পারেন না। ঠিক করে কথাও বলাতে পারেন না, সব কথা জড়িয়ে জড়িয়ে যায়। এদিকে সংসারে ভয়াবহ আর্থিক অনটন ছেলেদেরই নুন আনতে পান্তা ফুরনো অবস্থা। থাকেন টালির চালের এক ভগ্নপ্রায় বাড়িতে। বিভা মালের পরিজনদের অভিযোগ, দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন জানালেও কোনও এক অজ্ঞাতক কারণে তাঁরা কোনও সুবিধাই পাননি।
advertisement
আরও পড়ুন: বারানসির পুরোহিত এনে তোর্সা পাড়ে 'গঙ্গা আরতি'!
লকডাউনের পর থেকে এই বৃদ্ধার পরিবারের আর্থিক সমস্যা আরও বেড়েছে। দুই ছেলের মধ্য একজন কারখানার শ্রমিক, অন্যজন প্রায় বেকার। দিন আনি দিন খাই অবস্থা। ভাঙা টালির ছাউনির একটা ছোট্ট ঘরে থাকেন ওই বৃদ্ধা। বর্ষায় বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্যে তৈরি হয় ঝর্ণাধারা! ভেজা বিছানাতেই শুয়ে থাকতে হয় বিভা মালকে।
সেই তিনি কেন রাজ্য সরকারের কোনও প্রকল্পেরই সুবিধা পাননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে বর্তমানে ওই বৃদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ পর্যন্ত কিনতে পারছে না পরিবার। এই অবস্থায় প্রশাসনের সহৃদয় ভূমিকার দিকে তাকিয়ে আছে বিভা মালের গোটা পরিবার।
রাকেশ মাইতি