এমন প্রতিভাবান শিশুকে, শিশু না বলে সুপার চাইল্ড বলা যেতে পারে। গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের কালীনগর গ্রামের সৌজন্য মাজী। বয়স মাত্র দশ বছর। সৌজন্যর এই কৃতিত্বর জন্য তার ঝুলিতে রয়েছে নাসা ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড, ডিসকভারি সুপার লিগ চ্যাম্পিয়ন, এশিয়া বুক অব রেকর্ডস, ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় শিশু পুরস্কারের জন্যও সৌজন্যের নাম মনোনীত হয়েছে। সারা দেশের ২৬ লক্ষ নমিনেশনে মধ্যে ৫০০ জনের তালিকায় সৌজন্যর নাম। যদিও সেই তালিকা এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি। তার এই অভাবনীয় দক্ষতায় সম্প্রতি সৌজন্য স্থান করে নিয়েছে কালাম ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
advertisement
সৌজন্যের বাবা সুমন মাজী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ছেলেবেলা থেকে সুমন বাবুর লেখাপড়ার প্রতি ভীষণ মনোযোগ। তবে ছেলে সৌজন্য শিশু বয়সেই ছাপিয়ে গিয়েছে বাবাকে। সুমনবাবু জানান, ” সৌজন্যের যখন সাড়ে তিন বছর বয়স, সেই সময় ওর এমন গুণের কথা আমরা বুঝতে পারি। ওর মধ্যে রয়েছে আশ্চর্যজনক ক্ষমতা। সাধারণ জ্ঞান থেকে অঙ্ক, ইংরেজি সমস্ত বিষয়ে যেমন আগ্রহ। তেমনই দ্রুততার সঙ্গে যে কোনও বিষয়কে নিজের আয়ত্ত করে নিতে পারে। পড়ার প্রতি ভীষণ মনোযোগ। সারা বছরের পাঠ্য বই মাত্র দু-এক মাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলে। ইংরেজি-সহ সমস্ত বিষয়ে দারুণ আগ্রহ। সেই সঙ্গে খেলাধুলার প্রতিও মনোযোগী।”
তবে সৌজন্যর ইচ্ছে একজন কার্ডিয়োলজিস্ট ডাক্তার হওয়ার। ছোটবেলায় সৌজন্য দেখেছিল দাদুর হার্টের সমস্যা। সেই থেকেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। ডাক্তার হয়ে মানুষকে বাঁচবে মানুষকে সুস্থ করবে। বর্তমানে সৌজন্য হাওড়ার একটি বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া। বাড়িতে রয়েছেন বাবা-মা, ঠাকুমা-দাদু। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও তার গভীর মনোযোগ। তার ভাল লাগার খেলার মধ্যে ক্রিকেট ও ফুটবল। ক্রিকেট প্র্যাক্টিসের পাশাপাশি ক্যারাটেতেও ইতিমধ্যেই সাফল্য ধরা পড়েছে সৌজন্যর। সৌজন্যের স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হওয়া। সেই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলেছে উলুবেড়িয়ার সুপার চাইল্ড সৌজন্য মাজি।