ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে লাইব্রেরিগুলোতে পাঠকের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। সেই পাঠকদের আবার পাঠাগারমুখী করতে বেশ কিছু অভিনব পরিকল্পনা করেছে রাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। এক সময় বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির নিয়মিত আনাগোনা ছিল এই পাঠাগারে। দূর দূরান্ত থেকেও বহু পাঠক আসতেন।
এই লাইব্রেরিতে বরাবরই চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো সংখ্যায় পাঠক। শুরু থেকেই কম্পারেটিভ বইয়ের সম্ভার থাকে রাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে। এক দশক আগেও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার্থীরা এখানকার নিয়মিত পাঠক ছিলেন। তাঁরা অনেকেই বর্তমানে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁরাও বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছেন লাইব্রেরির শতবর্ষের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কম্পারেটিভ ক্লাস চালাতে দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছে। বই সহ নানা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন অনেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বহরমপুরে নবাবী আমলের মুদ্রা প্রদর্শনী
করোনা পরিস্থিতির পর থেকে পাঠক সংখ্যা আরও কমে গিয়েছে। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকজন পাঠক রয়েছেন। আর তাই পাঠকদের ফের পাঠাগার মুখে করতে কম্পারেটিভ বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে কম্পারেটিভ ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করতে একটি কুইজ সংস্থার সহযোগিতায় কুইজ কম্পিটিশন হবে লাইব্রেরিতে। হবে অঙ্কন প্রশিক্ষণ। সেই সঙ্গে পাঠাগারের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এগিয়ে এসেছেন প্রবীণ পাঠকরাও। নাতি-নাতনিদের সঙ্গে পাঠাগারের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
রাকেশ মাইতি