হাওড়ার প্রত্যন্ত এক গ্রাম গুটিনগরি, গ্রাম থেকে কলকাতা শহরে সাজ তৈরি শিখে আজ থেকে প্রায় ১৫-১৭ বছর আগে জরি চুমকি পাথর কাঁচ পুঁথি টিকি দড়ি লেস আঠা শোলা সহ নানা জিনিসের সাহায্যে নিপুন শৈল্পিক দক্ষতায় ডাকের সাজ তৈরি করতে শুরু। ডাকের সাজ বা শোলার সাজের পরতি বাজার, সেই বাজারেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা সুকান্ত অধিকারী ও তার স্ত্রী নমিতা অধিকারীর। কলকাতা থেকে শিখে এসে বাড়িতেই একা শুরু করে সুকান্ত, শুরু থেকে তার সঙ্গ দেয় স্ত্রী নমিতা অধিকারী, তিনিই এখন সমস্ত দায়িত্ব সামাল দেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জাতীয় সড়কে খোলা বাতি স্তম্ভের জয়েন্ট বক্স! বিপদের আশঙ্কা
সুকান্ত কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী মার্কেট থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসা ও দোকানে তৈরি সাজ দেওয়া অন্যান্য কাজ করেন। নিপুন শিল্প দক্ষতার প্রতি আত্মবিশ্বাসকে ভর করেই ডাকের সাজ ব্যাবসা নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু। একসময় শুধু নিজেরাই এই সামগ্রী তৈরি করত বাড়িতে, এখন তাদের থেকে কাজ নিয়ে অনেকেই রোজগার করছেন। পুজোর আগে কাজের চাপও রয়েছে দারুণ। সারা বছর চলনসই কাজ হলেও পুজোর সময় মাস তিনেক চাপ বেশি থাকে কাজের। নিজেদের এই ছোট্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে লড়াই পার করেছে দের দশক। আগামীতে এই ব্যবসা আরও বড় করে গড়ার স্বপ্ন চোখে।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে দুরাবস্থা, ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়েও মিলছে না চিকিৎসা পরিষেবা!
বহু চড়াই-উতরাই পার করে এখন একটু আসার আলো জেগেছে, তাদের তৈরি সামগ্রির চাহিদা বেড়েছে। উলুবেড়িয়া শ্যামপুর , বাগনান সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মৃৎশিল্পীরা ন্যায্য মূল্যে তাদের তৈরি সাজ সংগ্রহ করে। যদিও এখনও সেভাবে কলকাতা বা বড় বাজার ধরতে পারেনি তারা। তাই সেভাবে লাভের মুখ দেখেনি। ছোট ও কুটির শিল্পে সরকারের সুযোগ সুবিধা থাকলেও, তাদের সরকারি সহযোগিতার কোন বালাই নেই। তবে আশার আলোয় বুক বেঁধে প্রতিকূলতার মাঝেই লড়াই করে চলেছে ওরা। সরকারি সাহায্য পেলে ব্যবসা বড় করে গড়ার চিন্তা ভাবনাও রয়েছে জানান, শিল্পী।
Rakesh Maity