স্কুলের প্রতি তাদের যেমন অসম্ভব শ্রদ্ধা ভক্তি। তেমনি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ সন্তান হিসেবেই দেখতেন। এই স্কুল থেকেই বহু ছাত্র শিক্ষা জীবন শুরু করে। তারা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়েছে। বর্তমান সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সরকারি স্কুল বিমুখ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা যেন বেড়ে চলেছে। আর এতেই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের। পাল্লা দিয়ে বর্তমান সময়ে সরকারি স্কুলও যে আধুনিক শিক্ষাদানে সক্ষম। তা প্রমাণ করতেই গত কয়েক বছর আগে কাজ শুরু করেছিল। পানিহিজলী শীবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দারুণভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
advertisement
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় ক্লাব সংগঠন। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা দানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, শরীরচর্চা এবং হাতের কাজের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে নানা উদ্যোগ। এরই সঙ্গে সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আবৃত্তি। যেভাবে স্কুল সেজে উঠেছে। তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বলেই জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা।বাইরে থেকে স্কুলকে একটি মডেল স্কুলের রূপ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ছবির মোড়কে।
আরও পড়ুন, লোকসভা ভোটে দুই দলেরই পাখির চোখ ডায়মন্ডহারবার, অভিষেককে হারাতে মরিয়া ISF-BJP
আরও পড়ুন, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যাত্রীদের পরিবেশন করে বিশেষ খেতাব লাভ এই দুই স্টেশনের
ক্লাসরুম থেকে বারান্দা ‘ টি এল এম’ চোখে পড়বে। অন্যদিকে কিচেন গার্ডেন, মিড ডে মিলের খাবারের ছাত্র-ছাত্রীদের উপযোগী ঘর। রয়েছে সুসজ্জিত হল ঘর। শুদ্ধ পানীয় জল আধুনিক টয়লেট বাথরুম। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে জল ধরো জল ভরো প্রকল্প। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ তার সঙ্গে নাচ-গান প্রশিক্ষণ তো রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের কথায় জানা যায়, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে তারা ভীষণভাবে ছেলেমেয়েরা সঠিক শিক্ষা লাভ করবে। এখানে থেকেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বনশ্রী পল্ল্যে জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের অবৈধ শিক্ষাদানের পাশাপাশি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শরীরচর্চা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করতে পারে সেইদিক বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা স্থানীয় মানুষ অভিভাবক এবং স্থানীয় ক্লাব সংগঠন।
রাকেশ মাইতি