স্থানীয় সূত্রে খবর, চণ্ডীতলার জনাই স্টেশন সংলগ্ন মধ্যপাড়া এলাকায় দোলের দিন দুপুরে প্রতিবেশী রুনু সিংয়ের সঙ্গে বচসা শুরু হয় কৃষ্ণেন্দু দাসের।বাড়ির ভিটে নিয়ে দুই পরিবারে বিবাদ ছিল দীর্ঘদিনের। দোলের দিন মদ্যপ অবস্থায় রুনু ও তার দুই ছেলে বুদো আর বাবু কৃষ্ণেন্দুর উপরে চড়াও হয়। উঠোনে ফেলে লাথি, ঘুষি মারার পাশাপাশি কৃষেন্দুকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে তারা। বিয়ারের বোতলও ভেঙে মারে।
advertisement
আরও পড়ুন: চিকিৎসকের হাতে শিক্ষকের হেনস্থা? ফের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন
ছেলেকে বাঁচাতে মা যুথিকা দাস এগিয়ে যান। তাঁকেও ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত কৃষ্ণেন্দুর মা বলেন, 'আমার চোখের সামনে ছেলেটাকে পিটিয়ে মেরে ফেললো। আমি চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমি পারলাম না।' ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন যুথিকাদেবী। মা যুথিকা দাস আরও বলেন, ছেলে কৃষ্ণেন্দু তাঁকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই পিছন থেকে কটূ ভাষায় মন্তব্য করে রুনু ও তার দুই ছেলে। প্রতিবাদ করলে শুরু হয় বেধড়ক মারধর।
রুনু ও তার দুই ছেলে একসঙ্গে বসে মদ্যপান করছিল বলে অভিযোগ। সেই মদের বোতল দিয়েই মাথায় ভেঙে রক্তাক্ত করে দেয় পুরো জায়গা। মৃত কৃষেন্দুর মায়ের দাবি, যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, চণ্ডীতলা থানার পুলিশ রুনু সিংকে গ্রেফতার করেছে। তার দুই ছেলে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
রাহি হালদার