একসময় ওই ফটকের দুটি তোরণে কালো পাথরের ফলকে শিলালিপি ছিল। সেগুলি পার্সি ভাষায় লেখা। তার একটি উদ্ধার করে স্থানীয় ধর্মীয় স্থানে রাখা রয়েছে। বাকিগুলির কোন খোঁজ নেই। তোরণ দুটিও ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে বসেছে। এলাকার মানুষ প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ওই তোরণ দুটিকে সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন। কিন্তু বাম থেকে তৃণমূল কোন শাসকেরই এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোন আগ্রহ নেই। অথচ এই তোরণ দুটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম।
advertisement
কথিত আছে, একসময় ওড়িশা সুবেদার ছিলেন বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর জামাতা সুজাউদ্দিন খান। তৎকালীন সময়ে ওড়িশা থেকে এই গোঘাটের উপর দিয়েই হাতি ও ঘোড়ায় মুর্শিদাবাদে যাতায়াত ছিল। অপুত্রক মুর্শিদকুলি খাঁয়ের পর সুজাউদ্দিন বাংলার নবাব হয়েছিলেন। আর সেই খুশিতেই তিনি নাকি এই তোরণ দুটি তৈরি করেছিলেন। অথচ সেই ঐতিহাসিক স্থাপত্যই এখন একেবারে ধ্বংসের পথে।
আর তাই সেই ইতিহাস যাতে আগামী প্রজন্মের কাছে হারিয়ে না যায় তাই নিজেই রং তুলি নিয়ে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছেন কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের ছাত্র অভিষেক।





