চুঁচুড়া-মগড়া ব্লকের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হল দিগসুই হোয়েরা। বলাগড় বিধানসভার ১৭ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে এটি একটি। সেই পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা ডবল সিম্বল গেমের শিকার হয়েছেন। নির্বাচনের আর কয়েকটা দিন বাকি। এসময় দেওয়াল লিখন প্রচার কত কাজ ছেড়ে, তাঁরা দলীয় অফিসে বসে সময় কাটাচ্ছেন, কারণ না চাইতেও ‘নির্দল’ হয়ে গেছেন তাঁরা।
advertisement
ঘটনার সূত্রপাত হয় ডিসিআর কাটা থেকেই। দলের কথা মেনে দলের মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দেরিতে। এখানেই অভিযোগ উঠছে দিগসুই-এর বিধায়কের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী যারা আগে মনোনয়ন দাখিল করেন তাদের সিম্বল গ্রহণ করা হয়। বিধায়কের অনুগামীরা আগেই মনোনয়ন দাখিল করে রাখায় তারা প্রার্থী হয়ে যায়। আর দলের নির্দেশ মেনে তালিকা আসার জন্য অপেক্ষা করে মনোনয়ন দিয়ে সিম্বল পেয়েও প্রার্থী হতে পারেননি অনেকেই।
এই নিয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রয়েছেন অঞ্চল সভাপতি। যদিও তিনি টিকিট পেয়েছেন। তবে দলের এহেন নীতি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। তৃণমূলের এক নেতা মহঃ হানিফ বলেন, ‘‘একটি আসনের জন্য দু’টি সিম্বল কেন দেওয়া হল। এটা দলের নেতৃত্ব জেনেশুনেই দিয়েছে, নাকি সিম্বল জাল করা হল সেটা তদন্ত হওয়া দরকার। এমন সময় এটা করা হল আমরা নির্দল হয়ে গেলাম মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ায়।এখন দলের হয়ে ভোটও করতে পারব না।অথচ প্রথম থেকে তৃনমূল করি।’’
তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘দল বলেছিল তাই আমরা পরে মনোনয়ন করেছি। তার এই ফল হল। এখন যারা নির্দল হয়ে গেল তারা লড়াই করলে জিতবে। আমরা চেষ্টা করব তাদের জিতিয়ে আনতে। কিন্তু দল বলেছে নির্দল হলে তাদের জন্য দলের দরজা জানালা সব বন্ধ হয়ে যাবে। দলই তো নির্দল করল তাই ভয় পাচ্ছি।’’
হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি অভিযোগ জানিয়েছেন সেটা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের দল মনে করেছে সিম্বল দিয়েছে। এখন লক্ষ হওয়া উচিত কী করে নির্বাচনটা করা যায়।’’
রাহী হালদার